বাজবল শব্দটি শুনতে বেজায় আপত্তি কার্টলি অ্যামব্রোসের

0
2

এখন ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলতে নামা মানেই বারবার বাজবল শব্দটা শোনার ও দেখার অপেক্ষা। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরেকটি টেস্ট সিরিজ খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই তাই চলে এসেছে বাজবল শব্দটিও। তবে অভিধানে ঢুকে যাওয়া বাজবল শব্দটি শুনতে বেজায় আপত্তি কার্টলি অ্যামব্রোসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার সরাসরিই বলেছেন, চটকদার এই বাজবল নামটা শুনতে চান না তিনি। দু’বছর আগে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পর তাদের ব্যাটিংয়ের ধরন বদলে গিয়েছে। টেস্টে এখন অনেক আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইংলিশরা। দ্রুত বেশি রান তুলে প্রতিপক্ষকে দুবার আউট করতে বোলারদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার যে পরিকল্পনা, সেটিকেই বাজবল নাম দেওয়া হয়েছে। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ডাকনাম ‘বাজ’ থেকে ব্যুৎপত্তি এটির।

লর্ডসে আজ থেকে শুরু ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টের আগে এটি নিয়ে কথা বলেছেন অ্যামব্রোস। ক্যারিবীয় পেস বোলিং কিংবদন্তির ধারণা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলাররা বাজবলকে লাইনচ্যুত করবেন এই সিরিজে। অ্যামব্রোসের কাছে বাজবলটাকে নাকি ‘চটকদার নাম’ ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না।
কেন, সেই ব্যাখ্যায় সর্বকালের অন্যতম সেরা বোলার বলেছেন, ‘সত্যি কথা হলো, বাজবলকে আমি বেশি গুরুত্ব দিই না। আগের সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আগের সেই অস্ট্রেলিয়া, সব সময়ই তাদের আক্রমণাত্মক সব খেলোয়াড় থাকত। ১৯৮৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ৯৮ টেস্টে ৪০৫ উইকেট নেওয়া অ্যামব্রোস এরপর একটু খোঁচাও দেন ইংল্যান্ডকে। বলেন, ‘বাজবল একটা চটকদার নাম, তবে আমি কখনোই একটা সেকেন্ডও এটি নিয়ে ভাবিনি। আমরা জানি ইংল্যান্ড ক্রিকেটটা একটু অন্য রকমভাবে খেলত; মনে হয় একটু বেশি ধীরেই খেলত। হঠাৎ করেই সেই দল আক্রমণ করে খেলার সিদ্ধান্ত নিল আর একটা নতুন নামও বানাল। আমি এটা নিয়ে কিছু শুনতে চাই না।’ইংল্যান্ড সফরের ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলিং বিভাগ দেখে অ্যামব্রোস মনে করছেন, ভালো কিছুই করবে তারা। যদিও চোটের কারণে অভিজ্ঞ কেমার রোচকে পাচ্ছে না দল। তবে আলজারি জোসেফ, জেইডেন সিলস, শামার জোসেফ ও জেসন হোল্ডাররা আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে।

অ্যামব্রোসের চিন্তা শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং নিয়ে। বলেন, বোলারদের ভালো সুযোগ আছে। আমার একমাত্র দুশ্চিন্তা হলো বোর্ডে কিছু রান তুলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা বেশি রান করতে পারি, তবে আমাদের যে বোলিং, তাতে ইংল্যান্ডকে দুবার অলআউট করা সম্ভব। আমাদের রান করতে হবে, বছরের পর বছর ধরে আমাদের সমস্যা এটাই। বোলারদের কাজটা বেড়ে যায়, অল্প রান নিয়েই লড়াই করতে হয়।