স্বাস্থ্য দফতরে উঁচু পদে যোগাযোগ। নিজে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। এমনকি মন্ত্রীস্তরেও তাঁর বিরাট যোগাযোগ। ঠিক এই সব বলেই বিভিন্ন সংস্থাকে সরকারি কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার দাবি করতেন বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়। আর এভাবেই জালিয়াতি করে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হল না। বুধবার সরকারি টেন্ডার নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের অডিটর পদে চাকরি থেকে স্বাস্থ্য দফতরে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করার নামেই ধাপ্পাবাজি চালাতেন বুধাদিত্য। নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে সরকারি পদে ক্ষমতাবানদের প্রসঙ্গ টানতেন তিনি। চাকরি দেওয়ার জালিয়াতিতে হাত পাকিয়ে পরে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, যাঁরা চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকেন, তাঁদের দিকে হাত বাড়ান তিনি। কলকাতা ছাড়িয়ে বেঙ্গালুরুতেও প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন বুধাদিত্য।
২০১৯ সাল থেকে এভাবে প্রতারণা করে কোনও সংস্থার থেকে ৮৫ লক্ষ, আবার কোনও সংস্থার থেকে ২৬ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়। চাকরি দেওয়ার নামেও ২৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর মামলা হাতে নেয় ইডি।
বুধবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়। এরপরই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূলত সে একাই এভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়ে ছিল, না তাকে সাহায্য করার অন্য কেউ ছিল, তা নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেই সঙ্গে তাঁর এই প্রতারণা চক্রে আরও কারো সর্বনাশ হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখবে তদন্তকারীরা। বেঙ্গালুরু ছাড়া অন্য রাজ্যেও তাঁর জাল ছড়িয়ে রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।