বিবাহবিচ্ছেদের পর মুসলিম মহিলারা (Divorved Muslim Woman) স্বামীর থেকে খোরপোষ চাইতে পারবেন! এমনই যুগান্তকারী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট! দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ অনুচ্ছেদের আওতায় মুসলিম মহিলারাও বিবাহ বিচ্ছেদের খোরপোষে বা ভরণপোষণের দাবি জানাতে পারেন। আজ, বুধবার বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্-র বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। শাহো বানো মামলার আওতায় স্ত্রীকে খোরপোষ দেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন মুসলিম মহিলাদের খোরপোষের অধিকারে আইনি সিলমোহর পড়ল।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মহিলার (Divorced Muslim Woman) খোরপোষ প্রাপ্য, তিনি যে কোনও ধর্মাবলম্বী হতে পারেন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, খোরপোষ কোনও দান-খয়রাত নয়। প্রত্যেক বিবাহিত মহিলার অধিকার। বিচারপতি নাগরত্ন বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে স্বামীরা বুঝতে পারেন না যে, স্ত্রী, যিনি গৃহবধূ, মানসিক ভাবে এবং অন্যভাবে তাঁদের উপর নির্ভরশীল। ভারতীয় সংসারে গৃহবধূর ভূমিকা এবং তাঁর আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি জানানোর সময় এসে গিয়েছে।”
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, খোরপোষের আবেদন মুলতবি থাকাকালীন যদি বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর পড়ে যায়, সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের আইন অনুযায়ী এগোতে পারেন সংশ্লিষ্ট মহিলা। সেক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ ১২৫-এর আওতায় প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। আদালত পরিষ্কার জানিয়েছে, ১৯৮৬ সালের মুসলিম মহিলা (বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অধিকার রক্ষা) আইন ধর্মনিরপেক্ষ, আইনের ঊর্ধ্বে কিছু নয়।
১৯৮৬ সালের মুসলিম মহিলা (বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অধিকার রক্ষা) আইনে বলা ছিল, কোনও মহিলা যদি স্বাবলম্বী না হন, সেক্ষেত্রে ইদ্দতের সময়কাল পেরিয়ে গেলেও তিনি যদি দ্বিতীয় বিবাহ না করেন, তাঁর জন্য টাকার বন্দোবস্ত করে দেবে আদালত। কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, খোরপোষের জন্য কোনও শর্তপূরণ করতে হবে না মুসলিম মহিলাদের।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সিবিআই ধাক্কা, এজেন্সির ‘অপব্যবহার’ নিয়ে রাজ্যের মামলাকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের