মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় অতি উৎসাহী রাজভবনের বিতর্কিত পোস্ট! মুছতে হল চাপে পড়ে

0
2

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বুধবার সেই মামলার শুনানি থাকলেও, কোনও মন্তব্যই করেনি আদালত। অথচ অতি উৎসাহী হয়ে এই শুনানি নিয়ে আদালতের নির্দেশ বলে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দেয় রাজভবন। পরে বিতর্ক ছড়ালে পোস্ট (Post) মুছতে বাধ্য হয়। শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের অভিযোগে এতটাই চাপে রাজ্যপাল, ফলে সব কিছুই ঘেঁটে ফেলছেন বলে অভিযোগ। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের দায়ের করা মানহানির মামলার শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও জানান, ১৫ জুলাই মামলাটির শুনানি হবে। এদিন এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না তিনি। কিন্তু অতি সক্রিয়তা দেখিয়ে শুনানির পর এ বিষয়ে রাজভবন থেকে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে রাজভবন থেকে আদালতে মামলার শুনানিতে কী কী ঘটেছে সেটি লিখতে গিয়ে বলা হয়, “কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) মৌখিক ভাবে নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা যাবে না।“ পোস্টে রাজভবনের তরফে দাবি করা হয়, রাজ্যপালের আইনজীবীর সূত্রে খবর যে, “মানহানির মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত মৌখিক ভাবে জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা যাবে না। অবমাননাকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে আবেদন সোমবার শোনা হবে।“ বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে পোস্টটি করা হয়।

এরপরেই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। জানা যায়, মামলার বিষয়ে এদিন বিচারপতি কোনও  মন্তব্যই করতে চাননি। আনন্দ বোসের আইনজীবী আর্জি জানান, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যগুলি করা হচ্ছে, তা যেন আর না করা হয়- তার নির্দেশ পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিক আদালত। কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। পরবর্তী শুনানি অর্থাৎ আগামী সোমবার বিষয়টি শোনা হবে। অর্থাৎ তাদের আবেদনকেই আদালতের নির্দেশ বলে পোস্ট করে দেয় রাজভবন। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। তখনই বিপাকে পড়ে পোস্ট মুছে ফেলে রাজভবন। না হলে বড় আইনি প্যাঁচে পড়ে যেতে পারত বলে মত আইনজীবী মহলের।তবে, রাজ্য প্রশাসন তথা মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধাচরণ করতে হাইকোর্টের বিষয়ে মনগড়া কথা স্যোশাল মিডিয়ায়য় পোস্ট করা নিয়ে রাজভবনের বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা হয়। আইনজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, কোনও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবমাননাকর মন্তব্য না করার নির্দেশ আদালত দিতেই পারে না। আর মুখ্যমন্ত্রীর যে মন্তব্যের ভিত্তিতে এই মামলা, তা আদৌ অবমাননাকর কি না, সেটারই তো বিচার হয়নি। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই পোস্ট করা হল, তা নিয়েই প্রশ্ন। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ মামলায় এতটাই রাজভবন ঘেঁটে রয়েছে, যে ভাবমূর্তি উদ্ধারে আগ বাড়িয়ে এই পোস্ট করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে।