প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, নতুন করে NEET-UG হওয়ার পথে

0
3

NEET-UG ফের হওয়ার পথেই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ। NTA-র দাবিকে নস্যাৎ করে স্পষ্ট পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি জানালেন এই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে। তার পর্যবেক্ষণ, নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে এই পরীক্ষায় বেনিয়ম হয়েছে। কত পরীক্ষার্থীর উপর তার প্রভাব পড়েছে, এবং তাঁদের আলাদা করা সম্ভব কিনা তা বিচার করে NEET-UG ২০২৪ পরীক্ষা নতুন করে হওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পথে সর্বোচ্চ আদালত। তার আগে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিবিআই-কে তাদের তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানি হবে সিবিআই-এর রিপোর্ট পাওয়ার পরে। সিবিআই-এর রিপোর্টের উপর এনটিএ-র এই পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা হিসাবে থাকার যোগ্যতা নিয়েও পর্যালোচনা করবে সর্বোচ্চ আদালত।

সিবিআই-এর পাশাপাশি এনটিএ-র কাছেও ব্যাখ্যা তলব সুপ্রিম কোর্টের। গোটা পরীক্ষার দুর্নীতি ঘিরে সংসদে বিরোধীরা দাবি করেছিলেন, বিজেপি সরকারের তৈরি করা এনটিএ এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা পরিচালনা করতে অক্ষম। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আদালতে সোমবার দাবি করা হয় মাত্র একটি জায়গায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সেখানেই প্রধানবিচারপতি তুলে ধরেন, পঞ্জাব, দিল্লি, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডেও এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই সব অভিযোগ NEET প্রশ্নফাঁসের পাটনার ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা, তা নিয়ে বিশদ তদন্তের কথা পর্যবেক্ষণে জানান তিনি।

এখানেই কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা এনটিএ-কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পেশ করতে বলা হয় – ১) প্রশ্নফাঁসের চরিত্র কেমন, ২) কোথায় ও কখন সেই প্রশ্নফাঁস হয়েছে, ৩) প্রশ্নফাঁসের সঠিক সময় ও পরীক্ষার সময়ের মধ্যের ব্যবধান কতক্ষণের, এই সংক্রান্ত তথ্য।

এই সব বিষয়ে যেহেতু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই মামলার তদন্ত করছে, তাই সিবিআই-এর কাছে তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট বুধবার বিকাল ৫টার মধ্যে পেশ করার নির্দেশ দেয় আদালত। মূলত এনটিএ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তার উপর রিপোর্ট পেশের পর্যবেক্ষণ সর্বোচ্চ আদালতের। ১) প্রশ্নফাঁসের কেন্দ্র ও শহর খুঁজে বের করার জন্য এনটিএ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে। ২) চিহ্নিতকরণের জন্য কী পদক্ষেপ নিয়েছে এনটিএ, ৩) বেনিয়মের সুবিধাভোগী হিসাবে কত পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে এনটি – এই সব বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

এই প্রসঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষার পবিত্রতা বজার রাখা আদালতের দায়িত্ব। গোটা পরীক্ষা পদ্ধতি প্রভাবিত হয়েছে কিনা, তা দেখে বেনিয়মের সুবিধাভোগীদের আলাদা পরীক্ষার নির্দেশও দিতে পারে আদালত। তবে আসন্ন কাউন্সিলিংয়ের বিষয়ে আলাদা নীতি নির্ধারণের জন্য নির্দেশ দেন এনটিএ ও কেন্দ্র সরকারকে।

তবে এই দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন্দ্রের প্রভাবশালীদের আড়াল করার সুযোগ যাতে না পায় তার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করে তৃণমূল। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের দাবি, “যারা কোনও রাজ্যে কিছু হলে হইহই করেন, মিথ্যাচার করেন তারা কেন্দ্রে থাকাকালীন যে কাণ্ড ঘটিয়ে বসে আছেন তা দেশবাসীর নজরে ইতিমধ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট যা বলছে সবটাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাবশালীরা বাইরে ঘুরছেন কেন্দ্রীয় সরকারের। তাঁরা পুরো বিষয়টাই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।”