রথযাত্রা উপলক্ষে লোকে লোকারণ্য পুরী। শুরু রথযাত্রা, চলবে টানা দুদিন। ৫৩ বছর পর এই অনন্য ঘটনা ঘটতে চলেছে। প্রভু জগন্নাথের রথ, এতদিন মাত্র এক দিনের জন্য এগিয়ে যেত, তবে এই সময়সীমা বাড়িয়ে দুই দিন করা হয়েছে। মূলত, বিশেষ জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনার কারণেই এবারের রথযাত্রা দুই দিন ধরে চলবে। এমন কাকতালীয় ঘটনা এর আগে ১৯৭১ সালে ঘটেছিল। দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই রথযাত্রায় অংশ নিতে এসেছেন। প্রায় ১৫ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়েছে বলে জানিয়েছে ওড়িশা প্রশাসন। এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও জগন্নাথ রথযাত্রায় অংশ নেন। ওড়িশার নতুন সরকার রাষ্ট্রপতির সফরের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে।
প্রত্য়েক বছর রথযাত্রার আগের দিন নবযৌবন বেশ ও নেত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। তিথি অনুয়ায়ী এ বছর একই দিনে পড়েছে নবযৌবন বেশ, নেত্র উৎসব এবং রথযাত্রা। এর আগে ১৯৭১ সালে এমন ঘটনা ঘটেছিল।শাস্ত্রীয় রীতি অনুয়ায়ী, স্নান যাত্রার পরদিন প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভ্রদার জ্বর আসে। তাঁদের আলাদা ঘরে রাখা হয়। জ্বর থেকে সেরে ওঠার পর বিগ্রহের রূপটানের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এই অনুষ্ঠানকে বলে নবযৌবন বেশ ও নেত্র উৎসব। সাধারণত এই উৎসবের পরের দিন রথযাত্রার তিথি পড়ে।উৎসবে যোগ দিতে বিপুল ভিড় পুরীর জগন্নাথধামে।
জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদরজার সামনেই রয়েছে রথ। ভক্তদের হাত ধরে এগিয়েছে গুণ্ডিচা মন্দিরে। সেখানেই ভাই বোনকে নিয়ে সাত দিন থাকবেন জগন্নাথ। তার পর ফিরে আসবেন নিজের মন্দিরে। আলাদা আলাদা রঙের সাজে সেজে উঠেছে জগন্নাথ দেব, ভগবান বলরাম ও দেবী সুভদ্রার রথ। তিনটি রথের বাইরের অংশে, ঘোড়া ও অন্য অংশের সাজও অপূর্ব।বার্ষিক রথযাত্রার আগে নিয়ম মেনেই হয়েছে চন্দনযাত্রা, স্নান যাত্রা। সেই অনুষ্ঠানেও সারা দেশ থেকে ভক্ত সমাগম হয়েছিল পুরীতে।
রথযাত্রা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা স্তর তৈরি হয়েছে পুরী-সহ গোটা ওড়িশায়। যাতাযাতের সুবিধার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। হাসপাতালের বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ৫৩ পছর পর এ বছর ফের একই দিনে নবযৌবন বেশ, নেত্র উৎসব ও রথযাত্রা। এ বার ২দিন ধরে রথযাত্রা উৎসব হবে। রবিবার বিকেলে টান পড়েছে রথের রশিতে। কিছুটা এগিয়ে থেমে যায় যাত্রা। সোমবার ফের রথযাত্রা হবে।





































































































































