জামা মসজিদের (Jama Masjid) জমি সম্পর্কিত সার্ভের (Survey) রিপোর্ট দ্রুত জমা করার নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad Highcourt)। যোগীরাজ্যের (Yogi State) এই মসজিদ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বাবরি মসজিদ সরিয়ে দীর্ঘদিন পর রাম মন্দির নির্মিত হলেও জামা মসজিদ নিয়ে জটিলতা এখনও তুঙ্গে। আগামী ৫ অগাস্টের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ওই দিনই ধার্য করা হয়েছে।
হিন্দু পক্ষের দাবি, অযোধ্যার মতো মথুরাতেও মোঘল আমলে তৎকালীন সম্রাট ঔরঙ্গজেব মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়েছিলেন। এ নিয়ে আদালতে গড়িয়েছে মামলাও। তথ্য জানার আইনে এ ব্যাপারে সঠিক বিষয়টি জানতে চেয়ে আগ্রার প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন মইনপুরীর বাসিন্দা অজয় প্রতাপ সিং। তবে শনিবার হাইকোর্টের নির্দেশ মামলাকারীদের পক্ষ আবেদন করা হয়েছে অবিলম্বে সিট গঠন করে রিপোর্ট তৈরির পাশাপাশি একজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে নতুন করে জমি মাপার নির্দেশ দেওয়া হোক।
হিন্দুপক্ষের দাবি, মথুরার বিরোধও কিছুটা অযোধ্যার মতোই। ঔরঙ্গজেব মথুরার মন্দির ভেঙে সেখানে একটি মসজিদ তৈরি করেছিলেন। ১৬৭০ সালে মথুরায় ভগবা কেশবদেবের মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। তারপর সেখানে শাহী ইদগাহ মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। মথুরায় মোট ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানার অধিকারের নিয়েই দু’পক্ষের বিরোধ।
হিন্দুপক্ষের দাবি, মথুরার শ্রীকৃষ্ণভূমির আড়াই একর জমিতে মসজিদ তৈরি করেছিলেন ঔরঙ্গজেব। অবিলম্বে ঔরঙ্গজেবের তৈরি ওই কাঠামোকে বেআইনি ঘোষণা করে জমি ফেরৎ দিতে হবে। তবে এব্যাপারে মুসলিম পক্ষের প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের রিপোর্ট ঘিরে শোরগোল তৈরি হয়েছে মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে।