যোগীরাজ্যে স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকাকে হেনস্থার অভিযোগ! চর্চায় ভাইরাল ভিডিও

0
2

সত্যজিৎ রায় বেঁচে থাকলে হয়ত লিখতেন ‘যতকাণ্ড যোগীরাজ্য’। খুন-ধর্ষণ-স্বঘোষিত বাবার আশ্রমে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু- এই সবের সঙ্গে যোগ হল স্কুলের (School) মধ্যেই প্রিন্সিপলের হেনস্থার ঘটনা। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’। দেখা যাচ্ছে, আচমকাই স্কুলের প্রিন্সিপলের ঘরে ঢুকে পড়েন কয়েকজন। তার পরই তাঁকে চেয়ার ছেড়ে উঠে যেতে বলা হয়। কিন্তু প্রিন্সিপল প্রতিবাদ করাতেই রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেধে যায়। প্রিন্সিপলের ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। চেয়ার থেকে টেনে তোলারও চেষ্টা করা হয়। ভিডিওতে ধরা পড়েছে সেই ছবি।এরপরের কাণ্ড আরও চমকপ্রদ। ওই মহিলাকে চেয়ার থেকে তুলে আরেক মহিলাকে প্রিন্সিপালের সেই চেয়ারে বসিয়ে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। এই ঘটনা উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে।

যোগীরাজ্যের এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রিন্সিপল ছিলেন পারুল সলোমন (Parul Solomon)। কিন্তু সেখানে পিএসসি-র রিভিউ অফিসার (RO) এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট রিভিউ অফিসার (ARO) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর। অভিযোগ, বসন্ত যশবন্ত নামে ওই স্কুলেরই এক কর্মী গ্রেফতার হতেই পারুলের ঘটনায় জড়িয়ে থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। স্কুলের (School) শীর্ষ আধিকারিক মরিস এডগার ড্যান জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি আরও এবং এআরও-র পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। স্কুলেরই এক কর্মী এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন। তার পরই প্রিন্সিপলের নাম প্রকাশ্যে আসে। ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে থাকার জন্য প্রিন্সিপলকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সহকর্মীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের রোষে পড়েন প্রিন্সিপল পারুল।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, শার্লি ম্যাসিকে নতুন প্রিন্সিপল হিসাবে নিয়োগ করলেও পারুল নিজেকে তাঁর অফিসঘরে বন্দি করে রাখেন। দরজা না খোলায় ভেঙে ভিতরে ঢোকেন সহকর্মীরা। তার পর পারুলকে প্রিন্সিপলের চেয়ার থেকে টেনে তুলে স্কুল থেকে বার করে দেওয়া হয়।

এদিকে ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন প্রিন্সিপল পারুল। যদিও এডগার ড্যানের দাবি, পারুলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঘটনার ভিডিও করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পুলিশ-প্রশাসনের হাতে তুলে নিল কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ? এক মহিলাকে এভাবে ঘিরে ধরে হেনস্থা করাই বা কীভাবে যুক্তিযুক্ত হতে পারে! এই বিষয় কোনও উত্তর দিতে পারেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।