For the girls who wished she was a boy
(সেই মেয়েদের জন্য যারা মনে করে তারা যদি বালক হতো)
এমনটাই নিজের নির্বাচনী প্রচারে লিখেছিলেন ইরানের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মাসুদ পেজেসকিয়ান। ইরানের দুই দফার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে সেই নীতি তিনি ধরে রাখবেন কিনা তা সময় প্রমাণ করবে। তবে ইরানের রাজনীতিতে সংস্কার করার নীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির পদে বসা পেজেসকিয়ান এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবেন, এমনটা আশা গোটা বিশ্বের।
হিজাবের কঠোর নীতির সমর্থক সইদ জলিলিকে পরাস্ত করে রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রইসির মৃত্যুর পরে হার্টের সার্জেন পেজেসকিয়ানের হাতেই যাচ্ছে। তিনি ইরান-ইরাক যুদ্ধে প্রথম সারিতে থেকে যুদ্ধ ও ডাক্তারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। আবার দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের বিদেশনীতি ও আভ্যন্তরীন নীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না। অভ্যন্তরের ও বাইরের শক্তি বাড়ানো হবে কঠিন পরিস্থিতিতে। ফলে ভারতের সঙ্গে ইরানের যে সুসম্পর্ক রয়েছে তা বলবৎ থাকারই আশা রাখছে বিদেশমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য পেজেসকিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তবে ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি পদে আসা পেজেসকিয়ান যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসছেন, তা অনেকটাই দেশবাসীর সমর্থনের উপর নির্ভর করছে তা তিনিও জানেন। কারণ পরাজিত জলিলি খুব একটা দূরে নেই। তিনিও পেয়েছেন ৪৪.৩ শতাংশ ভোট। দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করে আসা ৭১ বছরের রাষ্ট্রপতি দেশের নিয়মের বেড়াজাল ভাঙার প্রচারেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। এবার তাই সেই পথে মানুষের সমর্থন প্রার্থনা করেছেন তিনি।