হাথরস পদপিষ্টের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত, মৃত বেড়ে ১২১

0
1

আচমকাই ‘দুর্ঘটনা’র চারদিনের মাথায় হাথরস পদপিষ্টের ঘটনায় আত্মসমর্পণ করল মূল অভিযুক্ত মুখ্য সেবাদার দেব প্রকাশ মধুকর। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে এই ঘটনায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়ালো সাতজন। যদিও আচমকা মধুকরের আত্মসমর্পণের পরে এই তদন্তে আরও নজর বাড়াচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার অতীত সব ধরনের রেকর্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই হাথরসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে অনুষ্ঠানের আয়োজকরা মৃতের সংখ্যা কম দেখানোর জন্য বহু চটি পাশের ক্ষেতে ফেলে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে কোনও মৃতদেহ সরানো হয়েছিল কিনা তাদের তরফ থেকে, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুই মহিলা সহ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছয়জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের সময় মূল আয়োজন মধুকরের সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। তখনই আত্মসমর্পণ করে সে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ভোলে বাবার কীর্তিকলাপ। ইতিমধ্যেই রাজস্থানের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হর্ষবর্ধন মীনার সঙ্গে যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে ভোলে বাবার। রাজস্থান পুলিশের দাবি, রাজস্থানে যে জমি সৎসঙ্গের জন্য ব্যবহার করতেন ভোলে বাবা, সেই জমি মীনা তাঁকে পাইয়ে দিয়েছিলেন। পরে সেই জমি নিয়ে জালিয়াতি উঠে আসে পুলিশের তদন্তে। তবে প্রশ্নফাঁসের তদন্তে মীনা জড়িয়ে যেতেই সেই সময় ভোলে বাবা রাজস্থান থেকে চম্পট দিয়েছিলেন।

রাজস্থান পুলিশের পক্ষ থেকে ভোলে বাবার সব তথ্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আচমকা মধুকরের আত্মসমর্পণ ভোলে বাবার উপর তদন্ত চালাতে ইন্ধন দিয়েছে পুলিশকে। এমনতেই প্রশাসনের থেকে মাত্র ৮০ হাজার মানুষের জমায়েতের অনুমতি নিয়ে আড়াই লক্ষ মানুষের জমায়েত করে মূল অভিযুক্ত মধুকর। তার পিছনে কোনও যোগ ভোলে বাবার রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন শহরে যেখানে ভোলে বাবার সংযোগ রয়েছে, সেখানে বিশেষ দল পাঠিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।