সম্পর্ক কোনওদিনই ভালো ছিল না শ্বশুর-বৌমার। তার জেরে ১০ বছরের নাতনির সামনেই তার মাকে কুপিয়ে খুন করল সত্তরোর্ধ্ব হেমাংশু মিত্র। পরে পুলিশ গ্রেফতার করে হেমাংশুকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানার চেষ্টা করবে ঠিক কী কারণে এরকম নৃশংস কাজ করলেন সাধারণ পরিবারের এক প্রৌঢ়।
কতটা পাশবিক প্রবৃত্তি মানুষের মধ্যে ঢুকলে নিজের ছেলের স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করতেও হাত কাঁপে না শ্বশুরমশাইয়ের। ভদ্রেশ্বর পাল পাড়ার হেমাংশু মিত্র বাড়ির একটি ঘরে বৌমা মিঠু মিত্র ও তার মেয়ে একসঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন। ছেলে নীলাংশু বাজার করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়ির সমস্ত দরজা বন্ধ করে দিয়ে বৌমার গলায় কাটারি দিয়ে একাধিক বার কোপ দেয় প্রৌঢ়। চিৎকার চেঁচামেচিতে পাশে ঘুমিয়ে থাকা দশ বছরের নাতনি উঠে যায়। এই দৃশ্য দেখে চিৎকার করতে থাকে সে। কিন্তু প্রৌঢ় তখন দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য।
চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশিরা ছুটে এলে তাদেরও কোপানোর ভয় দেখান হেমাংশু। এরপর কোনওক্রমে তাঁরা ঘরে প্রবেশ করেন। মিঠুকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর দেওয়া হয় মিঠুর স্বামী নীলাংশুকে ও ভদ্রেশ্বর থানায়। পরে পুলিশ হেমাংশুকে গ্রেফতার করতে গেলে প্রতিবেশীরা প্রাথমিকভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
কী কারণে এমন নৃশংস কাজ করলেন হেমাংশু তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ। রেলে কর্মরত নীলাংশুর সঙ্গে তাঁর বাবার সম্পর্কও খারাপ ছিল না। তবে বৌমা মিঠুর সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা গত হেমাংশুর। বৌমাকে তিনি মানসিক নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে চন্দননগর হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।