উদ্বেগজনক! কেজরিওয়ালের জামিনে স্থগিতাদেশ নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি ১৫০ আইনজীবীর

0
3

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Aravind Kejriwal) জামিন বাতিলের প্রক্রিয়া নিয়ে এবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে (DY Chandrachud ) চিঠি দিলেন কমপক্ষে ১৫০ আইনজীবী (Lawyer)। আবগারি মামলায় জামিন পেলেও জেল থেকে এখনও মুক্ত হননি আপ সুপ্রিমো। দিল্লি হাই কোর্টের নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশের জেরেই এমন পদক্ষেপ। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনে স্থগিতাদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার দিল্লি হাই কোর্টের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখলেন দিল্লিরই বিভিন্ন আদালতের আইনজীবীরা।


এদিন বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে লেখা চিঠিতে আইনজীবীদের অভিযোগ, যেভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন আটকে দেওয়া হয়েছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। পাশাপাশি চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে নিম্ন আদালতের রায় আপলোড হওয়ার আগেই দিল্লির হাই কোর্টের বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন কীভাবে মামলাটি শুনলেন? যে নির্দেশ কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোডই হল না সেটার বিরুদ্ধে কীভাবে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি মামলা গ্রহণ করলেন এবং স্থগিতাদেশও দিয়ে দিলেন? এটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। পাশাপাশি চিঠিতে ভারতের বিচারবিভাগের ‘কালো দিন’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আপ সুপ্রিমো মুক্তি পেলেও এর পিছনে বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতিকেই কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।

গত ২০ জুন সন্ধ্যায় দিল্লির নিম্ন আদালতে জামিন পান কেজরিওয়াল। কিন্তু সেদিন সন্ধে হয়ে যাওয়ায় জেলমুক্তি ঘটেনি তাঁর। জানা যায়, পরদিন অর্থাৎ ২১ জুন মুক্তি পাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে তখনই নিম্ন আদালতের বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দেয় ইডি। তবে কেজরিওয়াল জেল থেকে বেরনোর আগেই ইডি আবেদন দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করে। এরপর ইডির আবেদনের ভিত্তিতেই দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যায় জামিন। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহার জেলে। এরপর মাঝে লোকসভা ভোটের সময় কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন মিললেও ভোট মিটতেই ২ জুন আত্মসমর্পণ করে জেলে ফেরেন কেজরি। এখনও তিনি জেলেই রয়েছেন।