সার্বিকভাবে নন্দীগ্রামের আইনশৃঙ্খলার উপর আরও নজরদারি বাড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে নবান্নে নন্দীগ্রামের থানা ভেঙে আরও দুটি থানা তৈরির প্রস্তাব এসেছে। নন্দীগ্রাম থানা ভেঙে রেয়াপাড়া ও তেখালি এই দুটি নতুন থানা করার ভাবনা রয়েছে নবান্নের।স্বরাষ্ট্র দফতরের উদ্যোগেই তৈরি হবে এই দুটি নতুন থানা। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের আইনশৃঙ্খলার জন্য থাকবে তিনটি থানা ও দুটি আউটপোস্ট।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি নতুন আউটপোস্টও তৈরি করা হবে। সেগুলি হবে রামচক আউটপোস্ট ও সোনাচূড়া আউটপোস্ট। কোন থানার অধীনে কোন এলাকা থাকবে, তাও নির্দিষ্ট করেছে রাজ্যে স্বরাষ্ট্র দফতর। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য এই প্রস্তাব পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্র দফতর। নন্দীগ্রামের বিশাল এলাকার মানুষ যাতে আরও ভালোভাবে নিরাপত্তা ও পুলিশি পরিষেবা পান, তার জন্যই এমন পরিকল্পনা নবান্নের। ১৭ বছর আগে ২০০৭ সালে জমি আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। প্রাণ হারান ১৪ জন। এরপর থেকে গত দেড় দশক ধরে রাজ্য রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। ভোট মরসুমে সেখানে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ে। পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা, যে কোনও নির্বাচনে শিরোনামে উঠে আসে নন্দীগ্রামের নাম। এহেন নন্দীগ্রামে বাড়তি নজর দিতে চাইছে প্রশাসন।
বিশেষত নন্দীগ্রাম থানা বিরাট এলাকা জুড়ে। তাছাড়া গত লোকসভা নির্বাচনের আগে এই থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে, একাধিকবার রাজনৈতিক উত্তেজনা , পার্টি অফিস ভাঙচুর , দখল, ঘর লুটপাট, দোকান জবর দখলের মতো নানা ঘটনা ঘটেছিল। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল বারবার। পুলিশি পরিষেবা ও নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বাসিন্দারা।





































































































































