লোকটা প্রতারক, চিটিংবাজ, ৪২০! এই বলার দিন এবার শেষ। কারণ, প্রতারণা করা উঠে গিয়েছে তা নয়। নয়া আইনে নেই এই 420 ধারা। এই ৪২০ কথাটা এখন প্রতারককে গালাগাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার হলেও এটার উৎস Indian Pinnal Code বা IPC। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ নম্বর ধারাটি প্রতারণা সংক্রান্ত বিষয়ে আইন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ধারা ব্যবহারের জেরে ৪২০ সংখ্যাটার সঙ্গেই প্রতারণা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ১ জুলাই থেকে ভারতে ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা বদলে গিয়েছে। নয়া আইনে ৪২০ নম্বর ধারাটিই আর থাকবে না। ৩১৬ নম্বর ধারায় প্রতারণা সম্পর্কিত অপরাধের বিচার হবে।১৮৬০ সালে ব্রিটিশ শাসকরা ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রবর্তন করেছিল। ১৮৭২-এ ভারতীয় প্রমাণ আইন এবং ১৮৯৮-এ ফৌজদারি কার্যবিধি আইন চালু হয়। কিন্তু গত লোকসভায় বিরোধী শূন্য অধিবেশনে এর বদল ঘটিয়ে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল-২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিল-২০২৩ ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল-২০২৩ পাশ করায় মোদি সরকার (Modi Government)। বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও ১ জুলাই থেকে এই নয়া আইন কার্যকর হয়েছে। আর সেখান বদলে গিয়েছে আইনের ধারাও। ফলে, পাল্টা গিয়েছে প্রতারণার আইন। কিন্তু শুধু কথা নয়, সিনেমা, গল্প, নাটক-সবেতেই জড়িয়ে আছে ৪২০ নম্বর ধারাটি। ১৯৫৫-তে ঝড় তুলেছিল রাজকাপুর- নার্সিস অভিনীত ছবি ‘শ্রী-৪২০’। তার পর ২২ বছর পরে ১৯৯৭-এ রিলিজ হয় কমল হাসানের ছবি ‘চাচি ৪২০‘। এছাড়া সাহিত্যেও ঘুরে ফিরে বিশেষণ হিসেবে এসেছে এই ধারা। সেই সব জায়গাতেই রয়ে যাবে না চারশো বিশ। তবে, এখনও এই নয়া ধারা সম্পর্কে সড়গড় নন খোদ পুলিশ আধিকারিক ও থানার ওসিরা। এই কারণেই এটা লাগু হওয়া পিছিয়ে দিতে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে, সেই কথা কর্ণপাত না করে গাজোয়ারি করেই নয়া আইন লাঘু করেছে মোদি সরকার (Modi Government)।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.