রাজ্যপাল থেকে দেশের উপরাষ্ট্রপতি, এমনকি রাষ্ট্রপতির কাছেও জটিলতা কাটাতে চিঠি লিখেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যেপাধ্য়ায়। তারপরেও পরিস্থিতির জটিলতা কাটাতে এক চুলও সহযোগিতা করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিষয়টি রাজ্যপাল এবার ‘তামাশার জায়গায়’ নিয়ে যাচ্ছেন বলে তীব্র কটাক্ষ স্পিকারের। সোমবার বরাহনগরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে ফের একবার রাজ্যপালকে জটিলতা কাটাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আর্জি জানালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার রাতে দিল্লি থেকে শহরে ফিরেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু সোমবার বিধানসভার অধিবেশনেও শপথ গ্রহণ হল না দুই জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। এই প্রসঙ্গেই স্পিকার জানান, “আমি তো চাই আজকেই শপথ হোক। কতদিন এভাবে বরদাস্ত করবে। সারা রাজ্যের মানুষ দেখছে। এটা তামাশার জায়গা করে দিচ্ছে। রাজ্যপালের এটা বোঝা উচিত।” সেই সঙ্গে রাজ্যপালকে ফের একবার বিধাসভায় এসে দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ করানোর জন্য আবেদন জানান তিনি। তিনি বলেন, “এখনও আমি রাজ্যপালকে আবেদন করব আপনি আসুন। ওদের শপথ গ্রহণ করান। আমি গেট থেকে রিসিভ করে নিয়ে বিধানসভা নিয়ে আসব।”
রাজ্যের তরফ থেকে শপথ জটিলতা কাটাতে কোনও পদক্ষেপ বাকি না থাকলেও জটিলতা এক তরফাভাবে জারি রাখছেন রাজ্যপাল। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের কাছে জটিলতা কাটাতে যে আবেদন স্পিকার করেছিলেন সেই বিষয়ে তাঁর তরফ থেকে কোনও উত্তরও যে আসেনি, তাও এদিন জানান স্পিকার। রাজ্যপালের কাছে এদিনও সংবিধান মেনে পদক্ষেপের আবেদন জানিয়ে স্পিকার বলেন, “রাজ্যপাল আসুন এখানে। ওদের শপথ নিন। আর যদি ওনার আসতে অসুবিধা থাকে পরিষদীয় গণতন্ত্রের যে কনভেনশন আছে সেই কনভেনশন মেনে স্পিকারকে ক্ষমতা প্রদান করুন।”
সোমবার ডক্টর্স ডে উদযাপন করা হয় বিধানসভায়। বিধান রায়ের ছবিতে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দুই জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা ও রেয়াত। এরপরই ফের আম্বেদকর মূর্তির নিচে শপথ গ্রহণের দাবিতে ধর্নায় বসেন দুই জয়ী প্রার্থী।