জনরোষে গণপিটুনি! কোথাও মারা যাচ্ছে ভুক্তভোগী আবার কোথাও গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। সম্প্রতি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক গণপিটুনির হাড়হিম ঘটনা সামনে আসছে। সেই ভয়ঙ্কর আবহে ঝাড়গ্রামে (Jhargram) গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম মহেন্দ্র মিত্তল ও ডাক্তার সোরেন। জামবনি থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারির পর ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। ২ অভিযুক্তকেই ৭ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃত দুজনেই ওখানকার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার সাইট ম্যানেজার।

প্রসঙ্গত, চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয়। আর তার জেরেই মৃত্যু ঘটে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বেনাগড়িয়ার বাসিন্দা সৌরভ সাউয়ের। গত ২২ জুন গণরোষে গণপিটুনির শিকার হয় সৌরভ সাউ। রবিবার ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে তাঁর মৃত্যু হয়। সৌরভ সাউয়ের সঙ্গী বন্ধুও আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, ২২ জুন সৌরভ সাউ ও তাঁর বন্ধু অক্ষয় মাহাত একটি স্কুটি নিয়ে ঘুরতে বেরোয়। জামবনি যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে খাটকুরা নামক একটি জায়গায় গণপিটুনিরর শিকার হন তাঁরা। ওই জায়গায় একটি নির্মাণসংস্থার কাজ চলছিল। সেখানে কিছু যন্ত্রাংশ পড়েছিল। হঠাৎ করেই সেখানকার গ্রামবাসীরা তাদের ঘিরে ধরে। তারপর তাদের দুজনের বিরুদ্ধে যন্ত্রাংশ ও স্কুটি চুরির অভিযোগে মারধর করতে শুরু করে।

বেধড়ক মারধর করা হয় দুই যুবককে। মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে তাদের চিলকিগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যায়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁদের স্থানান্তর করা হয় ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু মারধরের চোটে সৌরভের শরীরের ভিতরে আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, সেই আঘাত থেকেই ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্ধু অক্ষয় মাহাত।
আরও পড়ুন: গণপিটুনির কড়া শাস্তি রাজ্যের আইনেই হতে পারত, সই করেননি রাজ্যপাল!








































































































































