সক্রিয় আন্তঃরাজ্য ডাকাতদল, লাগাতার সাফল্য পুলিশের

0
3

কখনও আসানসোল, কখনও পুরুলিয়া, আবার কখনও কোচবিহার। আন্তঃরাজ্য ডাকাতদল বারবার রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা টার্গেট করে যে ত্রাশ তৈরির চেষ্টা করেছে, তাতে জল ঢেলে দুবছরে প্রায় ১৫০ ডাকাতকে বিভিন্ন রাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। কেন্দ্র সরকারের পরিসংখ্যানে নিরাপদ রাজ্যের মধ্যে প্রথম সারিতে বাংলা। সেই পরিসংখ্যান ধরে রাখতে বাংলার পুলিশ যে তৎপর, শুক্রবার তার তথ্য তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা।

সম্প্রতি রাজ্যের চারটি জায়গায় ডাকাতির চেষ্টা ও ডাকাতির ঘটনায় প্রতিবেশী বিহার, ঝাড়খন্ড সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর, আদ্রা থানার সুভাষনগর, আড়ষা থানার সেনাবনা এবং পুরুলিয়া মফস্বল থানার নদীয়াড়া গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুরুলিয়া মফস্বল থানার নদীয়াড়া গ্রামে ডাকাতি করার সময় ডাকাত দলের ছেড়ে যাওয়া খালি মদের বোতলের সূত্র ধরে আন্তঃরাজ্য ডাকাত দলের সন্ধান পায় পুলিশ। সেই সূত্র ধরে অভিযানে নেমে ঝাড়খণ্ডের ৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আরও জানিয়েছেন, হাওড়ায় ডোমজুড়ের ডাকাতির ঘটনায় বিহারের সমস্তিপুরে তল্লাশি করে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসানসোলের রানিগঞ্জের সোনা দোকানের ডাকাতিতে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং স্থানীয় পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেয়েছে। অন্যদিকে, বাকুঁড়ায় বড় ডাকাতির ঠিক আগে পুলিশ হাতেনাতে ডাকাত দলকে ধরে ফেলে।

অন্যদিকে, মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, আসানসোলের ডাকাতির ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে এই রাজ্য থেকে এবং আরও দু’জনকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে কোচবিহারের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৪ জন।শেষ দু’বছরে এই ধরনের ডাকাতির ঘটনায় প্রতিবেশী রাজ্য থেকে মোট ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবিষয়ে মনোজ ভার্মা বলেন, “বিহার, ঝাড়খন্ডের উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঝাড়খণ্ড, বিহারের ডিজিপিদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।” আগামী দিনে রাজ্যে ডাকাতির ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন প্রশাসনের এই দুই কর্তা।