টানা বৃষ্টিতে শিমলায় ভ.য়াবহ ধ.স, চা.পা পড়ল একাধিক গাড়ি

0
1

বর্ষার টানা বৃষ্টিতে ভাসছে হিমাচল প্রদেশের বেশির ভাগ অংশ। এবার পাঁচ দিন দেরিতে বর্ষা ঢুকেছে। কিন্তু ভারী বৃষ্টির জেরে রাজধানী শিমলার একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ধসের কারণে বহু গাড়ি তার নীচে চাপা পড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই সেই সব গাড়ি উদ্ধার এবং ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিমলা ছাড়াও মালিয়ানা, চামিয়ানা, ভট্টকুফার, মিনি কুপতাধারে সবচেয়ে বেশি ধস নেমেছে। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টির জেরে কোনও কোনও জায়গায় হড়পা বানেরও সৃষ্টি হয়েছে। সুরালাতে একটি নির্মীয়মাণ রাস্তা ধসের নীচে চলে গিয়েছে। ভট্টকুফারে পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ির উপর পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিনি কুপতাধারে বইছে জলের ধারা। এ ছাড়াও ইদগা কলোনিতে ধসের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যাগগ রোডে ধস নামায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জুঙ্গা রোডে একাধিক বাড়িতে বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়েছে। খালিনিতেও ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে জুব্বারবাট্টিতে ১৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে, শিমলায় বৃষ্টি হয়েছে ৮৪ মিলিমিটার। বৃষ্টির জেরে গিরি নদীর জলস্তর বেড়েছে। আগামী সাত দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। রাজ্যের বাকি অংশেও আগামী দু’দিনে বর্ষা ঢুকবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

প্রসঙ্গত, ২২ জুন হিমাচলে বর্ষা ঢোকার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পাঁচ দিন পরে বর্ষা ঢুকেছে হিমালয় অঞ্চলের এই রাজ্যে। হিমাচলে ২৬ জুন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৩৯ মিলিমিটার। এ মাসে এখনও পর্যন্ত ৫৩ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি। ১২টি জেলাতেও ঘাটতি রয়েছে বৃষ্টির। মৌসম ভবন জানিয়েছে, কিন্নৌর এবং লাহুল-স্পিটি ছাড়া রাজ্যে ১০-১২টি জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।