তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েও শপথ (Oath Taking) নেওয়া হয়নি। আটকে আছে উন্নয়নের কাজ। সব পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস চাইছেন রাজভবনে এসে শপথ নিন বরানগর ও ভগবানগোলার দুই নব নির্বাচিত বিধায়ক। অন্যদিকে, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার চাইছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিধানসভাতেই শপথ নিতে। স্পিকার নিজেও সেটা চান। সেই মর্মে আগেই রাজ্যপালকে সংবিধানের পাঠ শিখিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তিন পক্ষের চিঠি চালাচালির মাঝে আটকে শপথ!
এরই মাঝে আজ, বুধবার নজিরবিহীন ঘটনা! বিধানসভায় ঢোকার মুখে সিঁড়িতে বসে পড়েছেন উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের দুই নব নির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা ও রেয়াত! তাঁদের একহাতে প্ল্যাকার্ড। যেখানে লেখা, “শপথ গ্রহণের জন্য মাননীয় রাজ্যপালের অপেক্ষায়…”! অন্য হাতে, জয়ের পর পাওয়া নির্বাচন কমিশনের সার্টিফিকেট।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে শপথ পাঠ (Oath Taking) করাতে দুই বিধায়ককে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রেয়াত হোসেন সরকার— কেউই সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। তাঁরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত তাঁরা শপথ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন বিধানসভা ভবনে। রাজ্যপাল বা তাঁর মনোনীত ব্যক্তি চাইলে সেখানেই এসে তাঁদের শপথ পাঠ করাতে পারেন। কিন্তু তাঁরা কোনও ভাবেই রাজভবনমুখো হবেন না।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থীর শপথ নিয়ে সম্প্রতি সরগরম বাংলা রাজনীতি। এক দিকে রাজ্যপাল চান, সায়ন্তিকারা রাজভবনে এসে তাঁর কাছে শপথ পাঠ করুন। অন্যদিকে, সায়ন্তিকাদের বক্তব্য, তাঁরা রাজভবনে যাবেন না। কারণ প্রথমত, রাজভবন তাঁদের ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্র নয়। তাঁদের কাজ করতে হবে বিধানসভায়। আর রাজভবন থেকে সেই বিধানসভার অধ্যক্ষকে অপমান করা হয়েছে। তাই তাঁরা কোনও ভাবেই সেখানে শপথ পাঠ করতে যাবেন না। এদিকে, রাজ্যপালের এমন ইগোর জন্য আটকে আছে শপথ গ্রহণ। সেই শপথের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির নজরে আনবেন বলে জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে মহিলার ব্যাগ থেকে উদ্ধার শিশু, বিরাটি স্টেশনে ধুন্ধুমার