সবজির দামে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের, সুফল বাংলার আরও ১১টি ভ্রাম্যমান স্টল চালু রাজ্যের

0
1

সবজি–আনাজের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়েছে। এই আবহে বাজারে গিয়ে হিমশিম অবস্থা গৃহস্থদের। কারণ, কাঁচা লঙ্কার কেজি ১৫০ টাকা। আদা ২৫০ এবং রসুন ৩০০ টাকা কেজি। এই ঊর্ধ্বমুখী দামের জেরে খুচরো বাজারে শাক–সবজি কিনতে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা খাচ্ছে আমজনতা। এই অবস্থা থেকে বাংলার মানুষকে রেহাই দিতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার।এই অবস্থা থেকে খানিকটা রেহাই দিতে লেকমার্কেট, সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউন ও আরও কয়েকটি এলাকায় সুফল বাংলার ১১টি ভ্রাম্যমান স্টল চালু করল রাজ্য সরকার। সুতরাং আমজনতা খানিকটা কম দামে সবজি কিনতে পারবেন। এখন সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য রাজ্যজুড়ে সুফল বাংলার ৪৬৮টি স্টল আছে।

কিন্তু কেন দাম আকাশছোঁয়া? জানা গিয়েছে, প্রবল গরম ও বৃষ্টিপাতের অভাবে শাক-সবজির উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারদরে। হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে শাক-সবজির দাম। লাউ-বেগুন থেকে শুরু করে টমেটো-লঙ্কা, প্রতিটি সবজিরই দাম প্রায় ১০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি, বাজারে এলেই টান পড়ছে তাঁদের পকেটে। ১ কেজি আলুর দাম পৌঁছে গিয়েছে ৩২ টাকায়। পাশাপাশি, টমেটোর দাম ঘোরাফেরা করছে প্রতি কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।
এদিকে, লাউ এবং বেগুনের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে যথাক্রমে ৮০ ও ৭০ টাকা। করলা এবং ঢেঁড়সের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ১২৮ শতাংশ ও ১৪০ শতাংশ। এখন সেগুলির দাম প্রতি কেজিতে ৮০ ও ৬০ টাকা। অপরদিকে, পেঁয়াজের দাম একলাফে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজিতে পৌঁছে গিয়েছে ৪৫ টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পর্যবেক্ষণের জন্য রাজ্য সরকার দ্বারা গঠিত টাস্ক ফোর্স ও বাজারে অভিযান চালাবনোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এবং শীঘ্রই বাজারে হানা দেওয়া হবে।

পাশাপাশি, তিনি আরও জানান যে, “আমরা আশা করছি আসন্ন বর্ষার সাথেই এই সমস্যার বেশিরভাগ সমাধান হয়ে যাবে।” তাঁর মতে, “এখন সুফল বাংলার স্টলে সবজি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও দাম রয়েছে বেশি। এরপরে এই পরিস্থিতি যাতে বেশিদিন বজায় না থাকে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”