যত দিন যাচ্ছে, ততই NTA-এর একের পর এক প্রবেশিকা পরীক্ষার পর্দা ফাঁস হচ্ছে। সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা (NEET) কেলঙ্কারিতে মাস্টারমাইন্ড সঞ্জীব মুখিয়াকে (Sanjeev Mukhiya) চিহ্নিত করার পর তাঁর পরিচয়ে একের পর এক উঠে আসছে চমকপ্রদ তথ্য। অতীতে একাধিকবার প্রশ্নফাঁসে নাম উঠেছে নিখোঁজ অভিযুক্ত সঞ্জীবের। রীতিমতো গ্যাং তৈরি করে প্রশ্নফাঁসের কারবার চালাতেন তিনি। নাম ছিল ‘মুখিয়া সলভার গ্যাং’। সূত্রের খবর, স্ট্যাম্পপেপারে সই করে টাকা লেনদেন হয়। বিহার (Bihar) পুলিশ সূত্রে খবর, নালন্দার বাসিন্দা সঞ্জীবের আসল নাম সঞ্জীব সিং। বিহারের এক কৃষি কলেজের কর্মী ছিলেন। সেখানে একইরকমভাবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তাঁর নাম জড়ানোর পর সঞ্জীবকে বদলি করা হয়েছিল নালন্দা কলেজের নুরসরাই শাখায়। ২০২০ সালে LGP-র টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি। তবে হেরে যান। কিন্তু বিহারে রাজনীতিতে দাপট ছিল সঞ্জীব মুখিয়ার। সেই প্রভাবকে হাতিয়ার করেই দল তৈরি করে প্রশ্নফাঁসের কারবার ফাঁদেন। তবে, শুধু সঞ্জীব নন, তার ছেলে শিবও ‘গুণধর’। পেশায় চিকিৎসক হলেও একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযুক্ত তিনি। আপাতত বিহার শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শ্রীঘরে শিব।
তদন্তকারীদের দাবি, এক অধ্যাপকের কাছ থেকে নিটের প্রশ্ন পেয়েছিলেন সঞ্জীব (Sanjeev Mukhiya) । সেটি তিনি দেন তাঁর ভাগ্নে রকিকে। এর পর প্রশ্নপত্রের সঙ্গে উত্তরপত্র তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় পন্থা বের করে তাঁরা। রীতিমতো স্ট্র্যাম্প পেপারে সই করে প্রশ্নপত্র পিছু প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। নিট পরীক্ষার একদিন আগে ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাটনা ও রাঁচির লার্ন প্লে স্কুল অ্যান্ড বয়েজ হোস্টেলে সকলের থাকার ব্যবস্থা করেন সঞ্জীব। সেখানেই পড়ুয়াদের প্রশ্ন ও উত্তরপত্র বিলি করা হয়।
জানা গিয়েছে, তবে কোনও পরিশ্রম ছাড়া বিপুল টাকা আয়ের সহজ রাস্তার লোভ ছাড়তে পারেনি অভিযুক্ত। ২০১৬ সালে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সঞ্জীবকে। তবে ছাড়া পাওয়ার পর দলবল তৈরি করে নতুনভাবে শুরু হয় তাঁর কারবার। যদিও নিট মামলার নিজের নাম ওঠার পর সঞ্জীবের দাবি ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।