ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর একের পর এক নির্বাচনে বিপর্যয়। দীর্ঘ ৩৪ বছর রাজ্য শাসন করার পরেও ক্ষমতা হারিয়ে সিপিএম (CPIM) এখন শূন্য। রক্তক্ষরণ হতে হতে বাংলার রাজনীতিতে কার্যত জীবন্ত জীবাশ্ম হয়ে টিকে রয়েছে সিপিএম। এভাবে চলতে থাকলে মহাশূন্যে প্রস্থান অবশ্যম্ভাবী। জনবিচ্ছিন্ন একটি দল, ভুল থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি। ফলস্বরূপ সর্বশেষ চব্বিশের লোকসভা ভোটেও ভরাডুবি!

ফুটো বাটি হাতে ধরিয়ে দিয়েছে বাংলার মানুষ। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হুঁশ ফিরেছে কমরেডদের। সেই সিপিএম (CPIM) এবার নাকি শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটতে চলেছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে যে সব পার্টি সদস্য সংগঠনের কাজে সঠিক ভূমিকা পালন করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে আলিমুদ্দিন। রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকে প্রাথমিক পর্যালোচনার পর খসড়া রিপোর্ট প্রকাশ করে সেখানে জেলা কমিটিগুলিকে আলিমুদ্দিনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, “নির্বাচনী সংগ্রামে যে সমস্ত পার্টি সদস্য যে স্তরেরই হোক না কেন যথোপযুক্ত ভূমিকা পালন করেননি, জেলা কমিটিগুলিকে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

সিপিএম সূত্রে খবর, যত বড়ই নেতা বা যে কমিটির সদস্যই হোন না কেন, ভোটের কাজে সঠিক ভূমিকা যাঁরা পালন করেননি তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয়স্তরে ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য কমিটি। শুধু তাই নয়, পার্টি অফিসে বসে যাঁরা নেতাগিরি করেন, এলাকায় যান না, সেই সমস্ত নেতাদের সতর্ক করে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ, ‘পার্টি সদস্যদের একটা ভালো সময় জনগণের কাছে যেতে হবে। শুধুমাত্র পার্টি দফতরের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে এলাকায় জনগণের মধ্যে সময় ব্যয় করতে হবে।’ রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, পার্টি সদসদের একটি বড় অংশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা ছিল নির্বাচনের কাজে। তার ফলেই নির্বাচনে এমন চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওম বিড়লার VS কে সুরেশ! স্পিকার নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোটাভুটির পথে লোকসভা








































































































































