পর্যটকদের জন্য বড় উদ্যোগ, দিঘা সমুদ্রসৈকতের হাল ফেরাচ্ছে প্রশাসন

0
2

রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘা। রাজ্য সরকারের হাত ধরে সেজে উঠেছে দিঘার সমুদ্র সৈকত। গড়ে উঠছে ধর্মীয় স্থান থেকে ঝাঁ চকচকে রাস্তা ও পার্ক। ফলে জেলা, রাজ্য, দেশ এমনকি ভিন দেশ থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। পর্যটকদের মুক্ত পরিবেশে সময় কাটানোর ব্যবস্থা করতেই এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন ।সৈকত নগরী দিঘার রাস্তার পাশে বেআইনি ঝুপড়ি ও অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ অভিযানে নামল দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার এড়াতে মজুত ছিল দিঘা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত শনিবার রাস্তার দু’ধারে অবৈধ ভাবে যেসব হকাররা রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছিল, তাঁদের উচ্ছেদ অভিযান চালায় পর্ষদ।

আসলে দিঘায় সমুদ্রপারে হকারদের রমরমা। নিউ দিঘা হোক কিংবা ওল্ড দিঘা, সমুদ্র সৈকতে সার বেধে হকারদের হরেক রকম পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায়। যার ফলে হাঁটার রাস্তাটুকু পান না পর্যটকরা। শুধু বসেই নন, অনেকে আবার সমুদ্রের ধারে ঘুরে ঘুরেও বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করেন। তাই হকার সমস্যা পর্যটকদের জন্য একটা বড়সড় সমস্যা বলেই মনে করছে জেলা প্রশাসন। ভিন রাজ্য শুধু নয়, ভিন দেশের বহু পর্যটক সৈকত নগরী দিঘায় বেড়াতে আসেন। অভিযোগ, রাস্তার দু’ধারে যত্রতত্র অবৈধভাবে জায়গা দখল করে যে সমস্ত হকাররা বসেছে তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে সরে যাওয়ার জন্য বলা হলেও তাঁরা কোনও গুরত্ব দেয়নি।

এই প্রসঙ্গে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, দিঘায় অবৈধ হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। আগে থেকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছিল। তারা কোনও নির্দেশেরই মান্যতা দেয়নি। সরকারি জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের এক শ্রেণির আমলা এবং পুলিশ কর্তাদের নিয়ে গত সপ্তাহে বৈঠক করেছিলেন তিনি। কোন এলাকায় কত সরকারি জমি রয়েছে, সেগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, সে বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দেখা যায় জেলাশাসকের দফতরের আশেপাশে যে সমস্ত অস্থায়ী দোকান রয়েছে সমস্ত দোকান সরিয়ে নিচ্ছেন দোকানদারেরা। অস্থায়ী দোকানদারেরা জানান, তারা প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে এই জেলা শাসকের দফতরের পাশে অস্থায়ী দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কিন্তু জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন এই অস্থায়ী দোকান রাখা যাবে না, তাই দোকানদারেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সৈকত নগরীকে আরও সুন্দর করে সাজাচ্ছে প্রশাসন। দিঘায় তৈরি হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির। নিঃসন্দেহে এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়ে গেলে দিঘার দিঘায় পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে। সেই কথা মাথায় রেখে আগেভাগে ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।