ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) কী আদৌ স্বচ্ছ? তাদের দ্বারা কী নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া মসৃণভাবে আদৌ হওয়া সম্ভব? এবার সেই তদন্তে নামতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক (Education Ministry)। এনটিএ-র কার্যপ্রণালী পর্যালোচনা করতে এবার উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। সাত সদস্যের এই কমিটির শীর্ষ রয়েছেন ইসরোর (ISRO) প্রাক্তন প্রধান ডঃ কে রাধাকৃষ্ণণ। যদিও সুপ্রিম কোর্টে এখনও এনটিএ (NTA)-র কার্যপ্রণালী যে ঠিক নয় বা সঠিক, তেমন কোনও দাবি করতে পারেনি কেন্দ্র। তবে তদন্ত কমিটি গঠনে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে এনটিএ সঠিক পথে চলছিল না, তা কেন্দ্রেরও জানা ছিল।
কেন্দ্রের গঠন করা উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে (High Level Committee) প্রাক্তন ইসরো প্রধানের নেতৃত্বে থাকছেন ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া, এইমস (AIIMS) দিল্লির প্রাক্তন অধিকর্তা; বি জে রাও, হায়দ্রাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য; কে রামমূর্তি, আইআইটি মাদ্রাজের সাম্মানিক অধ্যাপক; পঙ্কজ বনসল, আদিত্য মিত্তল সহ শিক্ষামন্ত্রকের সহ সচিব গোবিন্দ জয়সওয়াল।
এনটিএ কোন পদ্ধতিতে কীভাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করেছে তা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি কীভাবে সেই পদ্ধতিতে সংশোধন করা সম্ভব, কীভাবে কাজে স্বচ্ছতা ও গতি আনা সম্ভব তা নিয়ে পরামর্শ দেবে এই কমিটি। তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। কমিটির রিপোর্ট দুমাসের মধ্যে পেশ করতে হবে শিক্ষা মন্ত্রককে। বিরোধী ও বিভিন্ন পরীক্ষায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে অল্প সময়ের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্র সরকার।
তবে আদৌ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তদন্তে কোনও সুবিচার পাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। প্রাক্তন তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষের দাবি, “চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের ধামাচাপা কমিটি এটি। যদি NEET, NET কেলেঙ্কারিগুলোর শিকড়ে পৌঁছাতে হয় তাহলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির তত্ত্বাবধানে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। যারা অভিযুক্ত তাদের আগে গ্রেফতার করে তদন্ত করতে হবে। এর বাইরে কেন্দ্র সরকারের তৈরি করা যে কোনও কমিটি চোখে ধুলো দেওয়ার কমিটি।”
অন্যদিকে বিহারের নীট কেলেঙ্কারির সূত্র ধরে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত সিকন্দরকে। তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বিহার পুলিশ। পুলিশের জেরায় পরীক্ষার প্রশ্ন টাকা দিয়ে অমিত আনন্দের মতো দালালের থেকে কেনার কথা স্বীকার করেছে সে। সিকন্দরের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ এলাকা থেকে এই তদন্তে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।