মার্কিন সেনেটের ‘মাস্টারপ্ল্যান’! রাতারাতি বাড়ল আমেরিকার আয়তন, নেপথ্যে কোন সমীকরণ?

0
1

যেমন সুযোগ তেমন কাজ! সময় যত গড়াচ্ছে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমেরিকার (America) আয়তন। হ্যাঁ, শুনতে একটু অবাক লাগলেও সেটাই সত্যি। তবে রাতারাতি কীভাবে আয়তনে (Size) বেড়ে গেল আমেরিকা? এর পিছনে ঠিক কী কী কারণ রয়েছে বা আদৌ আমেরিকা যা দাবি করছে তা কী ঠিক নাকি কথার কথা? তা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। কিন্তু শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। গত কয়েকমাসে প্রায় ৬ লক্ষ ২১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা আমেরিকার দখলে এসেছে। যা কিনা স্পেন এবং পর্তুগালের মোট আয়তনের সমান। কিন্তু কীভাবে এমন অসাধ্যসাধন হল? সূত্রে খবর, গত বছরের জুন-জুলাই মাস থেকে নিজেদের এলাকা বাড়িয়ে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিল আমেরিকা। আর বছর ঘুরতেই দেখা যাচ্ছে, দুটো বড় দেশের আয়তনের সমান এক বিরাট এলাকা আমেরিকার হাতে এসেছে। কিন্তু আচমকা কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটল তা জানতে পারলেন না কেউই? নাহ গায়ের জোর বা যুদ্ধ করে দখলদারি নয়, শুধুমাত্র নতুন এলাকায় ঢুকে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। আর এভাবেই আমেরিকার আওতায় চলে এসেছে বিশাল এলাকা। গত তিন দশকে প্রশান্ত মহাসাগরে লাগাতার অভিযান চালিয়েছে আমেরিকা। এর মধ্যে এমন এলাকাও রয়েছে যার অস্তিত্ব কখনও কেউ জানতেন না। তখনই মহীসোপান অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করে তা কীভাবে নিজেদের আওতায় আনা যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন মার্কিন গবেষকরা। আর বছর ঘুরতেই দেখা গেল সরকারিভাবে সেসব এলাকা আমেরিকার অন্তর্ভূক্ত করেছে বাইডেন প্রশাসন।

কিন্তু কীভাবে এত বড় জায়গা দখল করে নিজেদের আয়তন রাতারাতি বাড়িয়ে নিল মার্কিন সেনা? সূত্রের খবর, যে জায়গাগুলি আমেরিকা দখল করেছে সেগুলি অগভীর মহীসোপান অঞ্চল বা এক্সটেনডেড কন্টিনেন্টাল শেলফ। আর এই ভূমিভাগ সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। আর সেই অঞ্চলগুলিকেই এবার টার্গেট করেছে মার্কিন সেনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক বছরে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূল থেকে শুরু করে অ্যাটল্যান্টিকের পূর্ব উপকূল বা মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ ও মেক্সিকো উপসাগর-সহ এমন ৬টি নতুন মহীসোপান অঞ্চল আমেরিকার হাতে এসেছে। তারপরই রাতারাতি এলাকা বেড়েছে আমেরিকার। কিন্তু আচমকা এমন কীভাবে সম্ভব? সেই নিয়েই ইতিমধ্যে জোর তরজা শুরু হয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে কোনটাই মার্কিন জলসীমার অংশ না থাকলেও সেই অঞ্চল নিজেদের দখলে নেয় আমেরিকা। তবে এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। সূত্রের খবর, জলভাগের উপর যাঁদের দাবি থাকার কথা, তাঁরা নিজেরাই বর্তমানে মহা ফ্যাসাদে পড়েছে, সেকারণেই আমেরিকা তাদের অঞ্চল নিজেদের দখলে নিলেও টুঁ শব্দটিও করার জো নেই তাদের। উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অন্তর্ভুক্ত সদস্য দেশগুলি সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ করে চুক্তি সাক্ষর করে। কিন্তু এর পক্ষে ১০৯ দেশ সমর্থন জানালেও মার্কিন সেনেট এই চুক্তি অনুমোদন করেনি। আর সেকারণেই নতুন মহীসোপান এলাকা আমেরিকা দখলে নিলে কারও কিছু করার নেই বলেই খবর । তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে চুক্তি সই না করে এবার নিজেদের ফায়দা তুলতে মরিয়া বাইডেন প্রশাসন।