একদিকে বাংলাদেশে ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক আন্দোলন বাড়ছে। অন্যদিকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের বাহানায় ফের একাধিক কার্যকলাপ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। এই পরিস্থিতিতে দুদেশের সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে ফের ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিবেশী পাকিস্তান, চিন, মালদ্বীপ সহ এশিয়ার একাধিক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে চলে যাওয়ার পরে বাংলাদেশই ভরসা মোদি সরকারের কাছে। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বলে চিৎকার করতে থাকা অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদির কাছে তাই এখন হাসিনা তাই বারবার অতিথি।
নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পনেরো দিনের মধ্যে ফের একবার ভারত সফরে হাসিনা। তিস্তা জলবন্টন, গঙ্গা জলবন্টন চুক্তি সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা এই সফরে। পুরোনো আলোচ্য বিষয়ে স্বাক্ষর হওয়ারও সম্ভাবনা। সেই মতো শুক্রবার বিকালেই দিল্লি পৌঁছান বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী। রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানান মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে।
শুক্রবারই তাঁর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর। বিদেশ মন্ত্রী জয়শংকরের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। শনিবার উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে শেখ হাসিনার। এরপরই তিনি বাংলাদেশ ফিরে যাবেন।