গত বছর রাজ্যে জাতি গণনা করিয়ে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য নয়া সংরক্ষণ (Reservation ) চালু করেছিলেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিহারবাসীর (Bihar) মন পেতে যে নয়া ফাঁদ পেতেছিল নীতীশ সরকার (Nitish Govt) সেই পথ এবার চিরতরে বন্ধ করে দিল পাটনা হাই কোর্ট (Patna High Court)। বিহারে তফসিলি, জনজাতি, অনগ্রসর এবং অতি পিছড়ে তথা অতিশয় অনগ্রসরদের জন্য নয়া সংরক্ষণ নীতি এনেছিল সরকার। বৃহস্পতিবার সেই নীতিই বাতিল করে দেওয়া হল।


বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট সাফ জানিয়েছে, যেভাবে এই সংরক্ষণ কার্যকর করা হয়েছে তা পুরোপুরি বেআইনি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে উল্লেখ রয়েছে, সংরক্ষণ ৫০ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না। ওই রায় বহাল থাকা সত্ত্বেও কী করে রাজ্য সরকার ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল, সে প্রশ্নও এদিন তুলেছে পাটনা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, নীতীশ কুমার সরকার গত বছর রাজ্যে জাতি গণনা করিয়ে পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য নয়া সংরক্ষণ চালু করে। সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৬৫ শতাংশ করা হয়। জাতি গণনায় জানা গিয়েছিল রাজ্যের ৬৫ শতাংশ মানুষ আর্থিকভাবে পিছিয়ে। আর সেকারণেই গাজোয়ারি করে তাদের আর্থ-সামাজিক বৈষম্য থেকে রক্ষা করতে সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের পরিমাণ ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নীতীশ সরকার।


তবে সংরক্ষণের ওই নীতি কার্যকরের সময় নীতীশ কুমার ছিলেন আরজেডি-র নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক। সংরক্ষণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে লালুপ্রসাদের দলেরও সমান অবদান ছিল। নয়া সংরক্ষণ কার্যকরের পর শিবির বদলে ফের বিজেপির হাত ধরেন জেডিইউ নেতা। আগামী বছরের নভেম্বরে বিহার বিধানসভার ভোট হওয়ার কথা। তার আগে সংরক্ষণ নিয়ে জটিলতা কাটাতে না পারলে নীতীশের জন্য যে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।










































































































































