রায়গঞ্জ উপনির্বাচন: মনোনয়ন দাখিল করলেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী

0
1

আজ, বুধবার মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন রায়গঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। তবে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই প্রচার শুরু করেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসের ওয়ার্ড থেকেই প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী। রায়গঞ্জ শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বীরনগরে মন্দিরে পুজো দিয়ে ও দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি তথা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন সন্দীপ বিশ্বাসও। কৃষ্ণ বলেন, “রায়গঞ্জ বিধানসভায় রাজ্য সরকারের সার্বিক উন্নয়ন মাথায় রেখে মানুষ উপ-নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে আমরা আশাবাদী। তৃণমূল ভাল ফল করবে।”

এদিকে, রায়গঞ্জ বিধানসভার উপ-নির্বাচনে বর্ষীয়ান মোহিত সেনগুপ্তকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। মোহিত ২০১১-২০২১ সাল রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেড় দশকেরও বেশি রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধানের পদ সামলেছেন মোহিত। এই কেন্দ্রে বামেরা প্রার্থী না দিয়ে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে।

এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানসকুমার ঘোষকে নিয়ে আবার দলের অন্দরেই বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। গতবছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বছর খানেকের মধ্যে মানসকে রায়গঞ্জ বিধানসভার উপ-নির্বাচনে প্রার্থী করে বিজেপি। এর পরেই পারিবারিক, ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে জেলা সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পাঠানো ইস্তফাপত্র সামাজিক মাধ্যমে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি শুভম স্যান্যালও একই কারণ দেখিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে সংগঠনের নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠান। দলের পুরনো কাউকে প্রার্থী না করে মানসকে প্রার্থী করার ঘটনা রায়গঞ্জে বিজেপির অনেক নেতা-কর্মী মানতে পারছেন না।