হারের লজ্জা-গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থীকেই সাসপেন্ড করল দল

0
3

লোকসভা ভোটে (Loksabha Election) বাংলায় লজ্জাজনক ফলাফলের পর এবার নতুন দাদাগিরি শুরু বিজেপির (BJP)। এমনিতেই রাজ্যে সংগঠনের হাল তলানিতে। দলের মধ্যেই ভোট মিটতেই শুরু হয়েছে একে অপরকে দোষারোপের পালা। লোকসভার ফল বেরনোর পর থেকে বিজেপির তরফে রাজ্যের একাধিক জায়গায় দলের বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ করা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) কেন্দ্রও। মঙ্গলবার বিজেপি নেতা বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের অন্তর্গত আমতলায় গেলে, তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলেরই আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ এই পরিস্থিতি চলে। এই ঘটনায় বেজায় অসন্তুষ্ট হন বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের নেতারা।

এরপরই নিজেদের দোষ আড়াল করতেই মঙ্গলবার রাতে দল থেকে বরখাস্ত করা হল ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ববিকে। ইতিমধ্যে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির তরফে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা একটি চিঠি তাঁকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিজিৎ দাস ববি জানিয়েছেন, তিনি সেরকম কোনও চিঠি পাননি। চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৮ জুন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হওয়া বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। এছাড়া আক্রান্তদেরও তিনি যেতে বাধা দিয়েছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ঘেরাও করা এবং ডায়মন্ড হারবার জেলা অফিসে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। আর সেকারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নিল দল। রাজ্য বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশে এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই চিঠি পাওয়ার একসপ্তাহের মধ্যে তার উত্তর দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য ভোট মিটতেই ডায়মন্ড হারবারের আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের অনেকেই বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাস ববির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অভিজিৎ দাসের অভিযোগ ছিল বিজেপির জেলা নেতৃত্ব আক্রান্তদের পাশে থাকছেন না। আর মঙ্গলবার বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ডায়মন্ড হারবারে গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির আক্রান্ত কর্মী ও সমর্থকরা। এবার সেই বিষয় ধামাচাপা দিতেই লোকসভা ভোটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রেকর্ড ব্যবধানে হার হজম করতে হয়েছে তাঁকে। আর তারপরই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নয়া নাটক।