গরমের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকলেও বিদ্যুতের বিল দেখে রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। স্কুল এতদিন বন্ধ থাকলেও কোথাও বিদ্যুতের বিল এসেছে ৩৪ হাজার বা কোথাও ৪০ হাজার টাকা। গরমের ছুটির মধ্যে বেশ কিছু স্কুলে বিদ্যুতের বিলের (Electric Bill) এমন হাল দেখে মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকদের (Head Teacher)। তাঁরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য বার গরমের ছুটিতে স্কুলের বিদ্যুৎ-বিল যা আসে, তার তুলনায় এ বছরের বিল এসেছে কয়েক গুণ বেশি। তবে স্কুল বন্ধ থাকলেও কীভাবে এত বিপুল বিল এল? উঠৈ আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের মাধ্যমে তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন, স্কুলের বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনে কোনও সমস্যা নেই। এ বছর গরমের ছুটির সময়ে ভোটের ডিউটির জন্য ওই সমস্ত স্কুলে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের আলো-পাখা জ্বালানোর কারণে আগেভাগেই বিদ্যুতের বিল মাত্রাতিরিক্ত আসার আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু এত বেশি আসবে, তা ভাবেননি তাঁরা। তবে এখন এই বিল কী ভাবে মেটানো হবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় ওই সব স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়ে সব জানিয়েছেন। কলকাতার যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলে মে মাসে বিদ্যুতের বিল এসেছে ৩৫ হাজার ৮৬ টাকা। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মে মাসের প্রথমে স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। পুরো মাস জুড়েই ওরা ছিল। সে সময়ে তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ দেখেই আশঙ্কা করেছিলাম, বিল অত্যধিক বেশি আসতে পারে। তিনি জানান, স্কুলের সব ঘরগুলিতেই ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। জওয়ানদের বিরুদ্ধে সব সময়ে আলো, পাখা চালিয়ে রেখে বিল বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
অন্যদিকে যাদবপুরের এন কে পাল আদর্শ শিক্ষায়তনে বিদ্যুতের বিল এসেছে ৪০ হাজার ৩৪৫ টাকা। প্রধান শিক্ষক জনার্দন রায় বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী যত দিন স্কুলে ছিল, তার মধ্যেই এই বিল এসেছে। দিন-রাত আলো-পাখা তো জ্বলেছেই, সেই সঙ্গে সার্চলাইট, হ্যালোজেনও জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। ৬০টিরও মতো বড় বড় স্ট্যান্ড ফ্যান চলেছে সব সময়ে। উল্লেখ্য ভোট মিটলেও বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গায়ের জোরে বাংলায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। এবার গরমের ছুটি মিটিয়ে স্কুল খোলার আগেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।