বাংলা থেকে নিয়ম ভেঙে গ্রেফতার! দুর্গাপুরে যোগী-পুলিশের ‘দাদাগিরি’

0
3

বাংলা থেকে কোনও তথ্য ছাড়াই রীতিমত গাজোয়ারি করে এক সরকারি কর্মীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ঘটনায় শেষ পর্যন্ত বাংলার পুলিশের তৎপরতায় রোখা সম্ভব হয় ‘বেআইনি’ গ্রেফতারি। উত্তর প্রদেশে লোকসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারানোর পরেও ক্ষমতা প্রয়োগ বন্ধ হয়নি যোগীরাজ্যের পুলিশের। কোনও রকমের আইন কানুনের তোয়াক্কা না করেই এখনও তাঁরা মঙ্গলবার দুর্গাপুরে যে বলপ্রয়োগের রাজনীতি দেখালো তা এককথায় নজিরবিহীন।

মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের পোস্ট অফিসের কর্মী মাখনলাল মিনা। পথে কিছু লোক তাঁকে বাইক থেকে নামিয়ে মারধর করে একটি গাড়িতে তুলে চম্পট দেয়। স্থানীয় মানুষ সেটা দেখতে পেয়ে তাঁর বাড়ির লোককে খবর দিলে তাঁরা দুর্গাপুর থানার দ্বারস্থ হন। এরপরই দুর্গাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত নাকা চেকিং পয়েন্টে খবর দেওয়া হয়।

ঝাড়খন্ড ঢোকার সময় বাংলার পুলিশের কন্যাপুর ফাঁড়ির নাকা চেকিংয়ে আটকায় গাড়িটিকে। এরপর দুর্গাপুর থানার পুলিশ কন্যাপুরে পৌঁছে গোটা বিষয়টি জানতে পারে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের দাবি মাখনলাল একটি প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করতে তাঁরা দুর্গাপুরে এসেছিলেন। আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা মাখনলাল কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকতেন। কিন্তু ভিন রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গিয়ে কোনও আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য যে আইনি পথ মেনে চলার কথা তার ধারে কাছ দিয়েও যায়নি উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

দুর্গাপুর পুলিশের দাবি গ্রেফতারির আইন মানা হয়নি। গ্রেফতারির পদ্ধতিতে ভুল রয়েছে। ভিন রাজ্যে গিয়ে কাউকে গ্রেফতার গেলে সংশ্লিষ্ট থানাকে জানাতে হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতারির পর আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে অভিযুক্ত নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু বাংলার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ তো দূরের কথা, রীতিমত অপহরণের ভঙ্গিতে অভিযুক্তকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যোগী রাজ্যের পুলিশ। দুর্গাপুর পুলিশ খতিয়ে দেখছে মাখনলালের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ রয়েছে কিনা।