বর্জ্য কর আদায় নিয়ে পুরসভার সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল হাই কোর্ট

0
1

কলকাতা পুরসভা ৫০০ বর্গফুট বা তার বেশি জায়গা নিয়ে তৈরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংমল, হাসপাতাল, নার্সিংহোম সহ সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট হারে জঞ্জাল বা বর্জ্য কর ধার্য করেছিল কলকাতা পুরসভা। সেই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলায়। সেই মামলায় আপাতত পুরসভার সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল আদালত। তবে হাই কোর্ট জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত মামলার গতি প্রকৃতির উপর পুরসভার ওই নির্দেশিকার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল মেয়র পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত হারে নয়া কর সংক্রান্ত এক নির্দেশিকা জারি করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, ৫০০ বর্গফুট আয়তনের কম জায়গা নিয়ে ব্যবসা করলে কোনও ব্যবসায়ীকে জঞ্জাল অপসারণের জন্য বা‌঩ড়তি কর দিতে হবে না। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল হোটেল, রেস্তোরাঁ। বাকি ৫০০ ফুট বা তার বেশি আয়তন যুক্ত হোটেল, রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল, নার্সিংহোম, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, ডায়গনস্টিক সেন্টার, শপিং মল ও মাল্টিপ্লেক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রতিদিনের বর্জ্য অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হবে। নির্দেশিকায় কলকাতা পুরসভা আরও জানায়, যদি কোনও প্রতিষ্ঠান মনে করে, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কর নেওয়া হচ্ছে, সেক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো যাবে। পুরসভার এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ক্যালকাটা হোটেলস, গেস্ট হাউসেস অ্যান্ড রেস্তোরাঁ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যরা। সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে দাবি করা হয়, প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট বা লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রে বর্জ্য কর আদায় সংক্রান্ত শর্ত আগে থেকে চাপানো যায় না। পুর আইনে এমন কোনও নিয়ম নেই। তাই ওই নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হোক।

পুরসভা পাল্টা দাবি করে, আইন অনুযায়ী ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে আদালত ওই নির্দেশিকায় কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিচ্ছে না। তবে পুরসভাকে তাদের বক্তব্যের পক্ষে হলফনামা জমা দিতে হবে। আপাতত প্রতিষ্ঠানগুলিকে পুরসভার ধার্য করা কর দিতে হবে। তবে মামলার গতি প্রকৃতির উপর কর বাবদ জমা দেওয়া অর্থের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা ও মামলাকারীর তরফে এবিষয়ে হলফনামা ও জবাবি হলফনামা জমা পড়েছে।