রাজ্যে ‘আক্রান্ত’দের দেখাতে নিয়ে এসে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের (Biplab Dev) সামনে মুখ পুড়ল বঙ্গ বিজেপির (BJP)। কারণ, ‘ঘরছাড়া’ বলে যে বিজেপি কর্মীদের দেখানো চেষ্টা করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপির জেলা নেতৃত্ব, তাঁদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন ‘আক্রান্ত’রা। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় কেন্দ্রীয় দলের সদস্য তথা ত্রিপুরার (Tripura) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছলেই তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ সর্দারের (Abhijit Sardar) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। অর্থাৎ রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনাতে নিয়ে এসে নিজেরাই ফেঁসে যান রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্যে শান্তি বজায় রয়েছে। কিন্তু ভোটে ভারডুবির পরে এখন হিংসার খোঁজে নেমেছে গেরুয়া শিবির। এই কারণে বাংলায় ডেকে আনা হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের। মঙ্গলবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে এলাকা পরিদর্শনে বেরোন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। কিন্তু রাস্তায় হাত দেখিয়ে বিপ্লবদের গাড়ি থামান দলেরই কর্মী-সমর্থকেরা। সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁরা। বিপ্লব দেবকেও (Biplab Dev) গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, ৪ জুন ভোটের ফলপ্রকাশের পর কর্মীদের খোঁজ নেয়নি বিজেপি নেতৃত্ব। ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিতের গুরুতর করেন বিক্ষোভকারীরা।
আমতলা, বিষ্ণুপুর দু’টি জায়গাই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই বিজেপি অভিযোগ করেছিল, একাধিক জায়গায় দলের কর্মী-সমর্থকেরা ‘আক্রান্ত’। অথচ সেই জেলার পুলিশ সুপারকেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রশংসা করেছেন স্বয়ং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এই পরিস্থিতিতে ভুয়ো অভিযোগ প্রমাণ করাতে এসে মুখ পুড়ল বঙ্গ বিজেপির।










































































































































