একের পর এক মিথ্যের বেলুন ফুঁটো হচ্ছে রেল দফতরের। কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা সিইও জানিয়েছিলেন তিন রেল কর্মী মৃত। তার মধ্যে ছিলেন মালগাড়ির চালক, সহকারী চালক ও কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড। অথচ মঙ্গলবার দেখা গেল শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমার। তাহলে কীসের ভিত্তিতে সহকারী চালককে মৃত ঘোষণা করেছিলেন চেয়ারম্যান জয়া ভর্মা সিনহা, উঠছে প্রশ্ন।


সোমবার সকালে দুর্ঘটনার পরই দ্রুত উদ্ধার কাজে হাত লাগান স্থানীয় গ্রামের মানুষ। রাজ্য সরকারের মেডিক্যাল টিম থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। পরে দেখা যায় মালগাড়ির চালকের দেহ বিপজ্জনকভাবে দুটি গাড়ির মাঝে চাপা পড়ে গিয়েছে। প্রথমে গ্যাস কাটার দিয়ে দেহ বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দেহ অক্ষত অবস্থায় বের করা সম্ভব নয়, বলে সেই পথ বাতিল করা হয়। এরপর দুটি ট্রেনের ভগ্নাবশেষ সরিয়ে চালকের কেবিন থেকে দেহটি বের করা হয়। কিন্তু সহকারী চালকের কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।

রেল কর্তৃপক্ষ বারবার মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালকের মৃত্যুর দাবি করলেও তাঁর মৃতদেহের বিষয়ে কেউ কিছুই জানাননি। মঙ্গলবার দেখা যায় শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই সহকারী চালক মনু কুমার। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান পরিবারকে তাঁর খবর তিনি জানাতে চাননি, তাঁরা উদ্বিগ্ন হবেন ভেবে। সেই সঙ্গে চালকের অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন করেন। কার্যত দুর্ঘটনার আতঙ্ক ছিল তাঁর চোখেমুখে।









































































































































