আহতদের পাশে রাজ্য, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন-যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছতে শিয়ালদহে ২ মন্ত্রী: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

0
3

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত ও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীদের পাশে রাজ্য সরকার। সোমবার, সকালে দুর্ঘটনা ঘটার পরেই খবর আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে। দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ দেন তিনি। সকালে বিমান না পাওয়ায় বিকেলের উড়ানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী। বেরিয়েই জানান, আহতদের চিকিৎসা ও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছনোর সব ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী জানান,
• সোমবার রাত বারোটা থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি হেল্প ডেস্ক চালু হবে।
• সেই হেল্প ডেস্কের দায়িত্বে থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।

রাজ্য পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগমে ছোট, মাঝারি ও বড় বাসের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সমস্ত যাত্রী যাতে স্বাচ্ছন্দে বাড়ি পৌঁছতে পারেন তার জন্যই এই ব্যবস্থা।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে (NBMCH) আহতের দেখে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানান, একজন ছাড়া বাকি আহতরা মোটামুটি স্থিতিশীল। সেখানে ৩৭ জন আহত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অধিকাংশকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, বাড়িতে যোগাযোগ করানো, বাড়ি পৌঁছে দেওয়া- সব ব্যবস্থাই রাজ্যের তরফে করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনও স্থানীয় মানুষরাই প্রথম উদ্ধারের হাত লাগায়। রেলের কেউই তখন আসেনি।

মমতার কথায় তাঁর বক্তব্য, ”যাত্রী সুরক্ষার দিকে একেবারেই নজর দেয়নি। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো বিলাসবহুল ট্রেন চালু করতে গিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন, সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবা হয়নি। যার জন্য এই বেহাল দশা। আমি এসব বলতে খারাপ লাগছে। কিন্তু বলতেই হচ্ছে, রেলের চূড়ান্ত গাফিলতির পরিণাম এই দুর্ঘটনা।”