আবহাওয়ার উন্নতি হলে মঙ্গলে শুরু উত্তর সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারকাজ

0
1

অবিরাম বৃষ্টি। সেইসঙ্গে ভূমিধস। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ক্রমশ আরও জটিল হয়ে উঠছে সিকিমের বন্যা পরিস্থিতি। ফলে রবিবারও ব্যাহত হল আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারকাজ। জাতীয় সড়কও বন্ধ। সিকিম সরকার সূত্রে, যা পরিস্থিতি, তাতে মঙ্গলবার থেকেই পুরোদমে উদ্ধারকাজ শুরু করা যাবে। সোমবার গোটা দিন তার প্রস্তুতিতেই লেগে যাবে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, লাচুং থেকে মঙ্গন পর্যন্ত তিনটে জায়গায় বড় ধসের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে রবিবার। আর সড়কপথের যা অবস্থা, তাতে হেঁটে চলাফেরা করা কষ্টসাধ্য। তাই আপাতত মঙ্গলবার থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিকিমের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের উত্তরাংশেও এখন বন্যা পরিস্থিতি। নাগাড়ে বৃষ্টিপাত চলছে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ তরাই এবং ডুয়ার্সে। ভূমিধসের আশঙ্কায় সিকিমের ‘লাইফলাইন’ বলে পরিচিত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দিতে হয়েছে প্রশাসনকে। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে গোটা দেশের। এর মধ্যেই উত্তর সিকিমে পর্যটকদের উদ্ধারকাজ থমকে গিয়েছে দুর্যোগের অভিঘাতে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রবিবার সকাল থেকে হেলিকপ্টারে পর্যটকদের উদ্ধারের পরিকল্পনা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাতে ব্যাঘাত ঘটে। নতুন করে একাধিক জায়গায় ধসের কারণে সড়কপথেও রবিবার পর্যটকদের উদ্ধার করা যায়নি। সোমবার বৃষ্টি কমলে এবং পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলে নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে। তবে আবহাওয়া একইরকম খারাপ থাকলে সড়কপথে বিকল্প ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, সোমবার উত্তর সিকিমের টুং থেকে পাঁচ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা পায়ে হেঁটে পেরোতে হবে আটকে পড়া পর্যটকদের। টুং থেকে মাঙ্গন পর্যন্ত ধস পেরিয়ে সেখান থেকে পর্যটন সংস্থার গাড়িতে গ্যাংটকের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। এখনও সিকিমে আটকে রয়েছেন প্রায় দেড় হাজারের বেশি পর্যটক। ঘরে ফেরার জন্য অপেক্ষা বারবার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রত্যাশিতভাবেই তাঁদের উদ্বেগ বাড়ছে। রবিবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে সিকিমে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে সিকিমের ‘লাইফলাইন’ হিসাবে পরিচিত ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও। এখনও পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।

আরও পড়ুন- NEET-এ ‘বেনিয়ম হয়েছে’, দুদিনেই উল্টো সুর শিক্ষামন্ত্রীর!