তারপর পোশাকের উপর বিজেপির প্রতীক নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল আগেই, শুক্রবার মিষ্টি হাতে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে এলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার ‘ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তের’ নামে বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা দুশোরও বেশি বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যপাল। কেন তাঁর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী এবং এই তথাকথিত আক্রান্তদের দেখা করতে দেওয়া হল না তা নিয়েও আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। অথচ বৃহস্পতিবার যখন রাজভবনের বাইরে শয়ে শয়ে লোক হাজির করে শুভেন্দু অধিকারী গাড়ির মধ্যে বসে ‘জল মাপছিলেন’ তখন কিন্তু রাজভবনের তরফ থেকে তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার কোনও বার্তাই পুলিশের কাছে আসেনি। দলের তরফে রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “তিনি পার্টির কলিগদের দেখতে গিয়েছিলেন। মুখোশ খুলে রাজনীতিতে নেমেছেন ৷”
বৃহস্পতিবার গোটা রাজ্য থেকে আনা ২০০-রও বেশি বিজেপি কর্মীকে নিয়ে রাজভবনে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু পুলিশ সেই নাটক ভেস্তে দেয়। রাজভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার দরুন অনেকটা দূরেই ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। কিন্তু শুক্রবার রাজ্যপাল বোস নিজেই বিজেপির তাঁবেদারি করতে দলবল নিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিন মিষ্টি হাতে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যপাল। কিন্তু বিজেপি দুষ্কৃতীদের ভোট পরবর্তী তাণ্ডবে যেসব তৃণমূলকর্মীরা আহত কিংবা নিহত হয়েছেন, তাঁদের কথা রাজ্যপালের মনে পড়ল না!
সূত্রের খবর কেন বৃহস্পতিবার শুভেন্দু-সহ আক্রান্তদের ঢুকতে দেওয়া হল না তা জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল। এদিকে, রাজ্যের সাফ বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী এর আগেও একাধিকবার রাজভবনে গিয়েছেন। তার রাজভবনে যাওয়া নিয়ে রাজ্যের কোনও অসুবিধা কখনই ছিল না, এখনও নেই। কিন্তু যে শ’য়ে শ’য়ে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে তিনি রাজভবনে ঢুকতে চাইছেন, সেটা সম্ভব নয়। রাজভবন রাজ্যের একটি শীর্ষ সাংবিধানিক ক্ষেত্র, সেখানে চাইলেই শতাধিক লোককে নিয়ে ঢোকা যায় না। রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে কতজন তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন এবং গাড়ি নিয়ে গেলে কটি গাড়ি রাজভবনের ভিতরে যাবে তা জানাতে হবে পুলিশকে। কারণ, এই আবহে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশকেই তা সামাল দিতে হবে।
আরও পড়ুন- তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকবে রাজ্যের সব জাতীয় উদ্যান-অভয়ারণ্য, বিজ্ঞপ্তি জারি বনদফতরের