খেজুরিতে বিজেপির লাগামহীন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো তৃণমূল

0
1

বিজেপির সন্ত্রাসে উত্তপ্ত খেজুরি, রক্তাক্ত তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)নির্দেশ মতো শুক্রবার আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়ান রাজ্যের দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, শিউলি সাহা (Siuli Saha),তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও কাঁথি লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক (Uttam Barik)। যেভাবে অত্যাচার করে, লাগামহীন সন্ত্রাস করে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন রাজ্যের শাসক দলের প্রতিনিধিরা, পৌঁছে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তাও। খেজুরি ২ ব্লকের শ্যামপুরমোড়ের প্রতিবাদ সভা থেকে অভিযুক্তদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের সময়সীমা বেঁধে দেন কুণাল (Kunal Ghosh)।

এদিন কুণাল ঘোষ,বীরবাহা হাঁসদা, শিউলি সাহারা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন যে যাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে অবিলম্বে তাঁদের সরকারি পরিষেবা থেকে বাদ দিতে হবে। একেবারে পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান খেজুরি ১ এবং ২ ব্লক মিলিয়ে ৬৮,৮৮৫জন লক্ষ্মীর ভান্ডারের পরিষেবা পাচ্ছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে। এদিন সভামঞ্চেই বিজেপির হার্মাদ বাহিনী দ্বারা আক্রান্তদের সঙ্গে একদফা কথা বলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়। কুণাল, শিউলি, বীরবাহারা জানান যে তৃণমূল সবসময় মানুষের পাশে আছে। যখনই দরকার তখনই তাঁরা পৌঁছে যাবেন। কিন্তু কোনও প্ররোচনায় কেউ যেন পা না দেন কারণ এলাকায় শান্তি রক্ষার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরবাহা জানান, এটা বাংলা, গুজরাট নয় তাই এই অবস্থা বেশিদিন চলবে না। জঙ্গলমহল যদি শান্ত হতে পারে, তাহলে খেজুরিও হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, খেজুরিতে যিনি পেছন থেকে সন্ত্রাসের মদত দিচ্ছেন আমরা তাঁকে চিনি। রাজ্যপালের কাছে কিছু মানুষকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের অত্যাচারের নামে নাটক করছেন আর খেজুরিতে সাধারণ তৃণমূল কংগ্রেসের উপর অত্যাচার করছেন। মুখোশধারী বিজেপি নেতাকে চিনে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

কুণাল ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পুরো বিষয়টি নজর রাখছেন। বিজেপি ইতিমধ্যে সাইন বোর্ড হয়ে গেছে। এরপর ভিজিটিং কার্ড হয়ে যাবে। বিজেপি নেতারা নিজেদের চেয়ার বাঁচাতে ব্যস্ত । নরেন্দ্র মোদির সরকারকে বাঁচানোর লোক নেই। নড়বড় করছে। খেজুরিতে যাঁরা গুন্ডামি করছে, সেই বিজেপি নেতাদেরকে কে বাঁচাতে আসবে ? এখানকার বিজেপি নেতারা কাদের কথায় নাচছেন ? প্রশ্ন তোলেন তিনি। সারা বাংলায় বিজেপি নেই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, আমরা শান্তি চাই। তার মানে এটা আমাদের দুর্বলতা নয়। তৃণমূল কংগ্রেসও জানে ঐক্যবদ্ধভাবে অত্যাচারের বিরুদ্ধে কী ভাবে রুখে দাঁড়াতে হয়। উপস্থিত ছিলেন পীযূষ কান্তি পান্ডা, প্রদীপ জানা, রণজিৎ মণ্ডল সহ অন্যান্যরা।