মহারাষ্ট্রের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এবার অজিত পাওয়ার শিবিরের দিকে আঙুল তুলল আরএসএস। পাল্টা ফলাফলের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করে উত্তর প্রদেশের উদাহরণ টেনে আনে এনসিপি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। দুইয়ের দ্বন্দ্বে কার্যত লোকসভা নির্বাচন পার হলেও বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জমে উঠেছে মহারাষ্ট্রের এনডিএ জোটের ‘পারস্পরিক সমীকরণ’।

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরে আরএসএস-এর মুখপত্রে বিজেপির যে দুর্বলতাগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বিজেপির দল ভাঙানোর রাজনীতি। প্রকাশ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত বিজেপির সমালোচনা করার পাশাপাশি এবার মুখপত্রতে সরাসরি ও বিস্তারিত সমালোচনা তুলে ধরা হল। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হল বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করেছে এবং তাদের সেই পন্থা ভুল।

মুখপত্রে দাবি করা হয়, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে জোট করে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। তা সত্ত্বেও এনসিপিকে ভাঙিয়ে অজিত পাওয়ার শিবিরকে জোটে যুক্ত করা হল। ফলে কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন এনসিপি কর্মীদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের বনিবনা না হওয়ায় পরাজয় হয় বিজেপির। একদিকে বিজেপির দল ভাঙানো নীতির সমালোচনা করা হয়, অন্যদিকে এনসিপি-কে যে সঙ্ঘ চায় না, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়।

একদিকে সামনে রাজ্যসভায় অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারের সাংসদ হওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ জোট অক্ষুণ্ণ রাখার পরিকল্পনায় আরএসএস মুখপত্র কঠিন চ্যালেঞ্জ এনে দিচ্ছে। পাল্টা এনসিপিও বিজেপিকে নিশানা করতে ছাড়েনি। ছগন ভূজবলের দাবি, ৪৮ আসনের মহারাষ্ট্রের লোকসভায় তাঁরা দুটি আসনে লড়াইয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। তার মধ্যে একটিতে জেতেন তাঁরা। বাকি আসনের বেশিরভাগ আসনে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি যেভাবে ধরাশায়ী হয়েছে, তা নিয়েই পাল্টা খোঁচা দেন ভুজবল।









































































































































