প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা (Prosenjit Chatterjee & Rituparna Sengupta) জুটির পঞ্চাশতম সিনেমা ঘিরে সাধারণ দর্শকের উন্মাদনা তুঙ্গে। ছবি মুক্তির ৫ দিন পরেও হাউসফুল বোর্ড হাসি ফুটিয়েছে নির্মাতা – পরিচালকের মুখে। খুশি বাংলা সিনেমার অন্যতম দুই স্তম্ভ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তবে এই সিনেমা দেখে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত সৃজা ঘোষ গড়াই (Srija Ghosh)। সিনেমায় তাঁর কবিতা ব্যবহার করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)। ঋতুপর্ণার কণ্ঠে নিজের কবিতা শুনে আর তার দৃশ্যায়নে মোহিত সৃজা আপ্লুত লেখিকা সমাজমাধ্যমে শেয়ার করলেন তাঁর অনুভুতি।
সিনেমায় পোয়েটিক জাস্টিস বলতে যা বোঝায় ‘বছর চারেক পর’ কবিতা যেন ঠিক সেই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলল। যাঁরা সিনেমা দেখেছেন তাঁরা জানেন শেষের দিকে ভীষণ প্রাসঙ্গিক একটা দৃশ্যে, অবিশ্বাস্য অভিনয়ে, অসম্ভব নিখুঁত গলায়, গোটা হল জুড়ে শোনা গেছে কটা লাইন। ক্রেডিট লাইনে ভেসে এলো নাম- কবিতা সৌজন্য সৃজা ঘোষ। ততক্ষণে ভাষা হারিয়েছেন স্বয়ং স্রষ্টা। সমাজমাধ্যমে স্ক্রিন শট শেয়ার করে নিজেই জানিয়েছেন যে পরিচালক তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রিমিয়ারে তারকাদের মুখোমুখি হয়ে সকলের শুভেচ্ছা পেয়েছেন সৃজা। একটা সিনেমায় ঠিক কতগুলো অনুভূতি ধরা যায়? ‘অযোগ্য’ সিনেমায় আসলে রহস্য-রোজনামচা, বৈষম্য-বিরহ, প্রতিশোধ-প্রেম, ভয়-ভবিতব্য সবটা মিলেমিশে একাকার হয়েছে। সৃজার কথায়, মন কেমনের ছবি কিংবা মন ভাল করা ছবি; প্রেমের রসায়ন বা জুটির ম্যাজিক এই সবকিছুর জন্য এই সিনেমা দেখা ‘মাস্ট’! প্রিমিয়ারে ঋতুপর্ণার সঙ্গে সৃজার দেখা হওয়া মাত্রই নায়িকা বলেন, “ওমা! তাই? তুমিই লিখেছ। অসাধারণ গো। এই আমি ঠিক করে বলতে পেরেছি তো?” সেই কথা নিজের পোস্টে উল্লেখ করে সৃজা জানান, এই কবিতা আসলে ‘প্রাক্তন’ দেখেই লিখেছেন তিনি। তার ব্যবহার হল ‘অযোগ্য’ ছবিতে, এ যেন সত্যিই এক অদ্ভুত সমাপতন!