বার্ড ফ্লু-র প্রকোপ থেকে বাদ পড়ল না বাংলাও! কলকাতায় এসে আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু

0
1

এবার বাংলায় থাবা বসাল বার্ড ফ্লু (Bird Flu)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সূত্রে খবর, ৪ বছরের এক শিশুর শরীরে মিলেছে এইচ৯এন২ (H9N2) বার্ড ফ্লু ভাইরাস। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানতে পেরেছেন ওই শিশুর শরীরে N9H1 ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। মালদহের মানিকচকের বাসিন্দা বছর চারেকের এক শিশুর বার্ড-ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে আগামীকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক প্রতিনিধিদল পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সেখানে যাচ্ছে। তবে এনিয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।

বুধবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে মিলে বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বার্ড-ফ্লু পরিস্থিতি বুঝতে এখনও পর্যন্ত ২৯ হাজার হাঁস-মুরগির পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কারও শরীরেই ভাইরাসের খোঁজ মেলেনি। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আড়াই বছরের প্রবাসী এক শিশুর শরীরেও বার্ড-ফ্লু ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তবে সে এখন অস্ট্রেলিয়ায়। জানুয়ারি মাসে ওই শিশুটির শরীরে ভাইরাসের খোঁজ মেলে। স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, যে বিমানে চড়ে ওই শিশু অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল, তার যাত্রীদের সকলেই সুস্থ রয়েছেন। কোনও রকম সংক্রমণ ছড়ায়নি।

রিপোর্ট অনুযায়ী,গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বাংলার এক শিশুকন্যা প্রবল জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাঁকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপরেই জানা যায় তাঁর শরীরে থাবা বসিয়েছে বার্ড ফ্লু। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই শিশুকন্যার বাড়িতে একটি মুরগির ফার্ম ছিল। সেখান থেকেই সে সংক্রমিত হতে পারে, এই আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। তবে শিশুটির জ্বর, শ্বাসকষ্ট, পেট খারাপের মতো উপসর্গ ছিল। পরে আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রায় তিন মাস ধরে তার চিকিৎসা চলে। এরপর ধীরে ধীরে শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছে।

তবে স্বস্তির খবর, ওই শিশুর পরিবারের কোনও সদস্যের মধ্যে এইচ৯এন২-র কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগপ্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতিমধ্যে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মেক্সিকোতে চলতি মাসেই এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিন সপ্তাহ অসুস্থ ছিলেন তিনি। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।