বিধানসভার মতো লোকসভাতেও শূন্য বাম তথা সিপিএম। হেরেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কংগ্রেস একেবারে খালি হাত না হলেও গতবারের দুটি থেকে একটি আসন কমেছে। অপ্রত্যাশিত হার সঙ্গী হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। অন্যদিকে, এ রাজ্যে তৃণমূল ২৯, আর বিজেপি ১২। ভোটের ফলাফলের এক সপ্তাহের মধ্যে ফের বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করলেন আইএসএফ নেতা তথা ভাঙ্গরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।

ভোট বিপর্যয়ের পর নওশাদের বিস্ফোরক দাবি, ”কংগ্রেস, সিপিএমের মধ্যে অনেকেই জোট চাননি। আমরা চেয়েছিলাম জোট। জোট হলে তো বিজেপি ১২টা, তৃণমূল ২৯টা সিট পেত না। জোটেই বেশি সংখ্যায় সিট পেতাম, কিন্তু অনেকে চায়নি।”

বাংলায় যখন ৪২ আসনে একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল, তখন জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু সেই জোটে ছিল না আইএসএফ।একতরফাভাবে ১২ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল তারা। নওশাদের দাবি, ”প্রথমে তো অধীরবাবু বেরিয়ে গিয়েছিল, তারপর বামেরা আমাদের সঙ্গে জোট করেনি। অনেকে হয়তো তৃণমূলের ২৯টা পাইয়ে দেওয়ার জন্য রাজনীতি করেছে। যাঁরা জোট করতে চায়নি। কারণটা কী, সেটা তো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে”!

নওশাদের কথায়, “এমন অনেক সিট আছে, যেখানে ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি জিতেছে। না হলে বিজেপি ১০টায় নেমে যেত, ৮টা নেমে যেত। তৃণমূল কংগ্রেস আরও নীচে নেমে যেত। ২৯ টা কেন, ২০ টপকাতে পারত না, যদি আমরা জোট করতাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেটা হয়নি”।









































































































































