নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন একাধিক রাজ্যের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ আধিকারিক বদল করে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। একদিকে বিজেপির পক্ষে ভোট করানোর সুবিধা পেয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে জেলাগুলির প্রশাসনিক কাজেও ব্যাঘাত ঘটে। নির্বাচনী আচরণবিধি উঠতেই ফের জেলাশাসক বদলের প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। সরিয়ে দেওয়া হল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তনভির আজমকে সরিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে জেলাশাসক পদে জয়োশি দাশগুপ্তকে বসিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরে মেদিনীপুরের ফলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে জেতার পথ বানিয়েছিল বিজেপির জন্য, এমনটা অভিযোগ করেন তিনি। স্পষ্ট অভিযোগ করেন, মেদিনীপুরে তৃণমূলকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই।
নির্বাচন শেষ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বদল হল সবার প্রথমে। সরিয়ে দেওয়া হল জয়োশি দাশগুপ্তকে। তাঁকে প্রশাসনিক ও কর্মিবর্গ সংস্কারে স্পেশাল ডিউটিতে পাঠানো হল। তাঁর জায়গায় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পদে নিয়োগ করা হল পূর্ণেন্দু মাজিকে।