লোকসভা নির্বাচনই শেষ নয়। তৃণমূলের লক্ষ্য গোটা দেশের মানুষকে একসূত্রে বেঁধে বিজেপির অপশাসনমুক্ত করা। তাই নির্বাচনের পরে কোনও কর্মীর খারাপ ব্যবহার দলকে সাধারণ মানুষের কাছে নিচু করে দিতে পারে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে কর্মী ও নেতাদের সতর্ক করেছেন দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খোদ কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি ঝামেলার অভিযোগে এলাকায় গিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এবার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে সচেতন হওয়ার বার্তা দিলেন।


ভোটের ফলাফল ঘোষণা করার পরেই বেশ কয়েকটি জায়গায় হিংসার অভিযোগ উঠছে, প্রতিশোধ নেওয়ার অভিযোগও উঠছে। অনেক ক্ষেত্রে শাসক দলের দিকেও অভিযোগের তির এসেছে। এই অবস্থায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এক্স হ্যান্ডেলে একপ্রকার ‘শাসন’ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজয় আনে নম্রতা ও মাধুর্য। আমি সকল নেতা এবং সদস্যদের আর্জি জানাচ্ছি যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের উপর যে আস্থা দেখিয়েছেন, সেটার মর্যাদা এবং সম্মান যেন আমরা করতে পারি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কাছে ঋণী। তাঁদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।”

এই প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের কাছে চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর ব্যবহারেরও ইঙ্গিত করলেন। সম্প্রতি নিউ টাউনের একটি রেস্তোরাঁর এক মালিককে তিনি চড় মারেন। রেস্তোরাঁর মালিক দাবি করেন, তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। পুলিশও হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোহম বা অন্য কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে এই ক্ষেত্রে বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের শৃঙ্খলায় বাঁধার চেষ্টা করছেন। লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল কংগ্রেস যে অ্যাডভান্টেজ পেয়েছে, সেই ইমেজ যেন বজায় থাকে সেই দিকেই নজর দিয়েছেন তিনি। এখন থেকেই টার্গেট যে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন সেই বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।









































































































































