এবার আদালত থেকে স্বস্তির খবর পেলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। একটি বিজ্ঞাপনে আপত্তি জানিয়ে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কেশব প্রসাদ।শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে আদালতে হাজিরা দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মানহানির মামলায় এদিন রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর করে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের ভাই ডিকে সুরেশের দেওয়া বন্ডে জামিন পান রাহুল গান্ধী।
এই মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছিল কেন? ২০২৩ সালের মে মাসে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে রাহুল অভিযোগ করেন, সরকারি কাজের জন্য নাকি সেই সময় ক্ষমতায় থাকা বিজেপি সরকার ৪০ শতাংশ হারে কমিশন নিত।বাসবরাজ বোম্বাইয়ের সরকারকে ৪০ শতাংশের সরকার বলেও কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এমনকি একটি সংবাদপত্রে এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস নেতার এই দাবির বিরুদ্ধেই আদালতে যান কর্ণাটকের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কেশব প্রসাদ।ওই মামলাতেই শুক্রবার রাহুলকে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাহুলকে জামিন দেয় কর্ণাটকের ওই নিম্ন আদালত।
রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। তবে ওই দুই নেতা অতিরিক্ত প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজিরা দিয়েছিলেন গত ১ জুন। সেদিনই মামলায় জামিন মঞ্জুর করা হয়।প্রায় দশ বছর পর এবারের লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছে কংগ্রেস। এর নেপথ্যে রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা-র বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ওয়েনাড় এবং রায়বরেলি, দুটি আসন থেকেই জিতেছেন রাহুল গান্ধী।
শুধু তাই নয়। এবার অমেঠি আসনটিও বিজেপির স্মৃতি ইরানির হাত থেকে উদ্ধার করেছে কংগ্রেস। এবার হয়তো বিরোধী দলনেতার আসনে বসতে পারেন রাহুল, যা বাস্তবায়িত হলে এক দশক পর এমনটা হবে। ২০১৪ সালে মাত্র ৪৪টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।
২০১৯ সালের ভোটে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ছিল ৫২। লোকসভার মোট আসনের ১০ শতাংশ না পাওয়ায় বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পায়নি কংগ্রেস।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.