লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) হুগলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। প্রচার পর্বে তাঁকে কটাক্ষ করে যে সমস্ত মিম ভাইরাল হয়েছিল এবার সেগুলোকেই জয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন অভিনেত্রী। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রচনা জানিয়েছিলেন, তিনি হুগলির ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ আর বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi No One) হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু যে রিয়ালিটি শো তাঁকে এত জনপ্রিয়তা দিয়েছে এবার সেই শোয়ের ভবিষ্যৎ নাকি অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে চলেছে? সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কি তবে টেলিভিশন ছাড়ছেন?


কখনও ‘ধোঁয়া’ নিয়ে কটাক্ষ কখনও দই নিয়ে মিম। গত দু আড়াই মাস ধরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান মুহূর্ত ভাইরাল হয়েছে। প্রতিপক্ষ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় তাঁকে তীব্র আক্রমণ করলেও হাসিমুখে সৌজন্যের রাজনীতি বজায় রেখেছেন অভিনেত্রী। এই কারণেই কি সাফল্য? রচনা বলছেন, সবটাই হয়েছে মানুষের জন্য আর মমতা-অভিষেক আস্থা রেখেছেন তাঁর ওপর, সেই কারণেই এই জয়। তবে এসবের পাশাপাশি স্বামীর প্রশংসা করতে ভুলবেন না অভিনেত্রী। প্রথম থেকেই নিজের দুই বিশ্বস্ত সৈনিককে নিয়ে ময়দানে নেমেছিলেন বলেই জানালেন অভিনেত্রী। রচনার কথায়,‘‘ আমার এই জয়ের কৃতিত্ব দেব প্রবালকে (স্বামী) ও অশেষ পালকে দাদা)। এই দু’জন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।’’ জয়ের পর ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-কে নিয়ে নতুন মিম ঘোরাফেরা করছেন। নেটপাড়া বলছে সংসদেও হয়তো সঞ্চালিকার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে রচনা বলবেন “এবার বলো”। কিন্তু যে গেম শো নিয়ে এত কিছু , সেই অনুষ্ঠান নাকি আর করতে পারবেন না রচনা? প্রশ্ন শুনে অভিনেত্রী জানালেন, এরকম কোনও ভাবনা চিন্তা আপাতত তাঁর মাথায় নেই। সাংসদ হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিয়ে পুরনো কর্তব্য এবং পেশাদারিত্ব ভুলতে রাজি নন হুগলির তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী। বলছেন, “কষ্ট হবে কিন্তু সবদিক ম্যানেজ করে নেব।” উত্তরের শেষে সিগনেচার হাসি দিয়ে ভিকট্রি চিহ্ন দেখাতেও ভোলেননি রচনা।








































































































































