অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার। রীতিমতো সবুজ ঝড়ে বাংলায় খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিজেপি। বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে ২৯ আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। গোটা দেশে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেকটা আগে থামতে হয়েছে বিজেপিকে। সেই তুলনায় ইন্ডিয়া জোটের ফল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। এই আবহে আগামিকাল, বুধবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে সেই বৈঠকে যোগ দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে দুপুর ১টা নাগাদ দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন অভিষেক।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সোনিয়াজি এবং রাহুলকেও অভিনন্দন জানিয়েছি, কিন্তু ওরা এখনও জবাব দেয়নি। যোগাযোগ না করলে কোনও অসুবিধা নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, উদ্বব, তেজস্বী, হেমন্ত সরেনের স্ত্রী , কেজরিওয়ালের স্ত্রী, অখিলেশের স্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। বলেছেন, ইন্ডিয়াকে মানি। এনডিএ ইজ গন। আমি আলাদা করে কোনও দলের নাম নিচ্ছি না। আমি চাই ইন্ডিয়া দেশকে নেতৃত্ব দিক। মমতার এই কথাতে স্পষ্ট, ইন্ডিয়া জোটকে রক্ষার জন্য তিনি সর্বোতভাবে চেষ্টা করবেন। মমতা বলেন, ইন্ডিয়ার এখন একটাই কাজ, বাংলা ও দেশের সংবিধান এবং মানুষের নিরাপত্তা, বিচার ও গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করা।
এদিনও তৃণমূল সুপ্রিমো অভিযোগ করেন, বিজেপি যে নোংরা রাজনীতি করছে, তার জবাব পেয়ে গিয়েছে।আগামিকাল ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক আছে। সেখানে আমি যেতে পারব না। কারণ রাজ্যটাকে তো সিআরপিএফের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। তাহলে তো ওরা বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার করবে। তিনি মনে করিয়ে দেন, মোদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে আরও অত্যাচার করত। আর নির্বাচন হতে দিত না। এ বার কি আমরা ছেড়ে দেব? আশা করি ইন্ডিয়ার সদস্যরাও ছেড়ে দেবে না। বরং আমাদের টিম বাড়বে, কমবে না।
ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে তিনি না যেতে পারলেও বলেন,আমি অভিষেককে অনুরোধ করব যেতে। কারণ ও দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে রেকর্ড গড়েছে। তাই ওকে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যেতে বলব। সব নেতা–নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে বলব। এবার আর ইডি–সিবিআই দিয়ে অত্যাচার করলে চলবে না। এখন আর নরেন্দ্র মোদি ইচ্ছা করলেই সংসদে বিল পাশ করাতে পারবে না। দেশের কোনও বিরোধী নেতা–নেত্রীর উপর যদি অত্যাচার হয় তাহলে দিল্লির বুকে আন্দোলন হবে।’ জানা গিয়েছে,বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সোমবার বেশি রাতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ফোন করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কংগ্রেস সভাপতির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- রাজ্যে সবুজ ঝড়! জয়ের হাসি হাসলেন চার অভিনেত্রী