৬ জুন যুবভারতীতে ভারতও-কুয়েত ম্যাচ। এই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ভারত অধিনায়কের বিদায়ী মঞ্চ ভারতীয় ফুটবলের জন্যও মাইলফলকের ম্যাচ হতে পারে। কুয়েতকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে ইতিহাস গড়ার হাতছানি সুনীল, মনবীরদের সামনে। সেই সঙ্গে সরাসরি ২০২৭ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলারও ছাড়পত্র পাওয়ার সুযোগ।

এই ম্যাচ নিয়ে ফেডারেশনের মিডিয়া টিমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোচ ইগর স্টিম্যাচ জানিয়েছেন, ৬ জুন ভারতীয় ফুটবলারদের কেরিয়ার বদলে দেওয়ার ম্যাচ হতে পারে। দলের জন্য বিশাল ম্যাচ হতে চলেছে।
স্টিমাচ বলেছেন, ‘‘কুয়েতের বিরুদ্ধে যুবভারতীতে আমাদের বিরাট বড় ম্যাচ। আমাদের ছেলেদের কেরিয়ার বদলে দিতে পারে এই ম্যাচ। আমি চাই, ওরা ম্যাচটা উপভোগ করুক এবং নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিক।’’

১৯৮৫ সাল থেকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলছে ভারত। কখনও প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকাতে পারেনি। স্টিম্যাচ সেটা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘কুয়েতের বিরুদ্ধে তিন দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা আমরা খেলতে চলেছি। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কখনও তৃতীয় রাউন্ডে খেলার সুযোগ পাইনি। এমন একটা পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে থাকাটাই একটা কৃতিত্ব। তৃতীয় রাউন্ডে গিয়ে এশিয়ার সেরা দলগুলোর বিরুদ্ধে আরও ১০টা ম্যাচ খেলতে পারলে আমাদের অনেক লাভ হবে। ফুটবলের বৃহত্তর আঙিনায় নিজেদের ছাপ রাখার সুযোগ পাবে ভারত।’’

গত এক বছরে কুয়েতের বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচ খেলেছে ভারত। সাফ ফাইনালে স্মরণীয় জয়ও পেয়েছে দল। তবে এবার লড়াই কঠিন বুঝেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ফুটবলারদের সেরা জায়গায় রাখতে চাইছেন সুনীলদের হেড স্যার। সেইসঙ্গে ফুটবলারদের চতুর হওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন। রবিবারও ছুটি ছিল অনুশীলনে। মেহতাব সিং দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বলে খবর। সোমবার থেকে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু করবেন সুনীলরা।
আরও পড়ুন- Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস

































































































































