এবার তো ২০১৯ সালের মতো বিজেপি (BJP) হাওয়া নেই। বরং, কেন্দ্রের মোদি সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ছিল সারা দেশজুড়েই! তাহলে তারা এত পাবে কী করে? এ কেমন এক্সিট পোল (Exit Poll)? এমন বিভ্রান্তিকর এক্সিট পোল আগে দেখেনি দেশ।
রাত পোহালেই গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের গণনা। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা! প্রায় সমস্ত বুথ ফেরৎ সমীক্ষা বা এক্সিট পোলে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদে নরেন্দ্র মোদির ফেরার আভাস দেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও শাসক তৃণমূলের চেয়ে আসন সংখ্যায় এগিয়ে থাকবে বিজেপি, এমনটাই দাবি করা হয়েছে বেশিরভাগ বুথ ফেরৎ সমীক্ষায়। এমনকী, টুডেজ চাণক্য এবং অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার মতো জনপ্রিয় ও প্রবল পেশাদার সংস্থার দাবি, এনডিএ ৪০০ ছুঁয়ে ফেলতে পারে। যদিও বিজেপি বিরোধীরা এই সমীক্ষাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বরং, ইন্ডিয়া জোটের তরফে দাবি করা হয়েছে কমপক্ষে ২৯৫ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে তারা।
“লাগে তুক। না লাগে তাক”, এবার এক্সিট পোলকে অনেকেই হাতুড়ে ডাক্তারের সঙ্গে তুলনা করছেন। বিশেষ করে বাংলায় ৪২ আসনের মধ্যে ১৩ থেকে ১৭ পাবে তৃণমূল! আর বিজেপি পাবে ২৩ থেকে ২৭! যা দেখে বিজেপির লোকেরাই হেসে ফেলেছেন! আর পাড়ার মোড়ে, চায়ের দোকানে অট্টহাসি শুরু হয়েছে!
রাজনৈতিক সচেতন অনেক মানুষের বক্তব্য, একটা খিচুড়ি এক্সিট পোল তৈরি হয়েছে। একে অপরকে নকল করেছে। এটার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কিন্তু স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। অতীতের উদাহরণ টেনে অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে, এক্সিট পোলের ট্র্যাক রেকর্ড মোটেও ভালো নয়। মনে পড়ে বিশ্লেষকরা তৃণমূলকে ১৬০টার মতো আসনের মধ্যে বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল তারা। সমস্ত এক্সিট পোলের নাকে ঝামা ঘষে দিয়েছিল। এবারও তাই হতে চলেছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এই এক্সিট পোল প্রবলভাবে ট্রোল। “সবই ধ্যানের জাদু। পাহাড়ে ধ্যান হয়েছে। টিভিতে তার ফল ফলেছে…”, এমন অনেক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সব মিলিয়ে এক্সিট পোল নিয়ে এমন বিরোধিতা, কটাক্ষ অতীতে দেখা যায়নি!