২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় করা এক্সিট পোলের অনুমান মেলেনি, এবারও মিলবে না। দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে এমনটাই বলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, তৃণমূল কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতেই এমন সমীক্ষা।
মঙ্গলবার গণনার আগে রবিবার দলের জেলার নেতাদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি গণনার দিনে করণীয় কর্তব্য বুঝিয়ে দেন। পাশাপাশি বেশ কিছু লোকসভার আসনের জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকটি কেন্দ্রের জন্য দলের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। সোমবার তাঁদের নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে সব প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে এবং সোমবার রাতের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে হবে দলকে।
একনজরে কারা দায়িত্বে –
* তমলুকের গণনা কেন্দ্রের জন্য পর্যবেক্ষক করা হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
* হুগলি কেন্দ্রের গণনার জন্য পর্যবেক্ষক করা হয়েছে ইন্দ্রনীল সেনকে।
* উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের জন্য পর্যবেক্ষক করা হয়েছে মন্ত্রী পুলক রায়কে।
* আরামবাগের গণনা কেন্দ্রের জন্য পর্যবেক্ষক করা হয়েছে শান্তনু সেনকে।
* মেদিনীপুর কেন্দ্রের জন্য পর্যবেক্ষক করা হয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদারকে।
* ঘাটাল কেন্দ্রের জন্য পর্যবেক্ষক করা হয়েছে মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এবং পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতিকে।
* কাঁথি কেন্দ্রের জন্য পর্যবেক্ষক করা হয়েছে খোদ প্রার্থী উত্তম বারিককেই।
* বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের জন্য পর্যবেক্ষক করা হয়েছে সমীর চক্রবর্তীকে
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ৪২ টি কেন্দ্রের প্রার্থী, জেলা সভাপতি এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাউন্টিং এজেন্টদের ফর্ম ফিলআপ করানো কথা বলেন। পাশাপাশি তিনি দলের নেতাদের নির্দেশ দেন, গণনা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ও এজেন্টরা যেন শেষ পর্যন্ত থাকেন। কোনও প্ররোচনাতেই তাঁরা যেন কাউন্টিং সেন্টার ছেড়ে বেরিয়ে না আসেন।
আরও পড়ুন- শালবনি নয়, রাজ্যের কোথায় হবে ইস্পাত কারখানা? জানালেন সৌরভ